অবশেষে নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান হতে যাচ্ছে। হালের সবচেয়ে বড় আলোচিত বিষয় লিওনেল মেসির নতুন ঠিকানা চূড়ান্তের শেষ পর্যায়ে। এখন শুধু দুই পক্ষের আনুষ্ঠানিকতাই বাকি।
প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি) দেওয়া প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল যাদুকর। দুই বছরের চুক্তিতে প্যারিসে যাচ্ছেন মেসি। পরবর্তীতে আরও ১ বছর বাড়ানোর সুযোগ থাকছে। মৌসুম প্রতি মেসিকে ৩৫ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি টাকা) বেতন দেওয়া হবে।
ফুটবল ট্রান্সফার বিষয়ক বিখ্যাত ইতালিয়ান সাংবাদিক ফ্যাবরিজিও রোমানো তার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রোমানো আরো জানিয়েছেন পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মেসিকে প্যারিসে দেখা যাবে।
বার্সেলোনাকে বিদায় জানানোর সংবাদ সম্মেলনে মেসি স্বীকার করেন, তার নতুন ঠিকানা হতে পারে পিএসজি। কিছুক্ষণ পরের খবর, ফরাসি ক্লাবটি আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। পিএসজির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই করছেন মেসির আইনজীবীরা। দুই পক্ষই আত্মবিশ্বাসী ছিল দ্রুত এই চুক্তি সম্পন্ন হয়ে যাবে। তারপরেই আজ এলো মেসির সম্মতির সংবাদ।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, মেসির সঙ্গে ব্লকবাস্টার চুক্তির জন্য আর্থিক সামঞ্জস্যতা করতে ১০ খেলোয়াড়কে নাকি ছেড়ে দেবে পিএসজি। দ্য অ্যাথলেটিক রিপোর্ট করেছে, ক্লাব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ট্রান্সফারের জন্য আর্থিক সামঞ্জস্যতা করতে চায় পিএসজি। যদিও আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের কারণে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবে তারা। তারপরও বেতন বিলের ভারসাম্যতা নিয়ে শঙ্কায় ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
এজন্য ১০ খেলোয়াড়কে বিক্রি কিংবা ধারে অন্য ক্লাবে পাঠানোর কথা ভাবছে পিএসজি। গুঞ্জন উঠেছে, আব্দু দিয়াল্লো, থিলো কেহরার, ইদ্রিসা গুয়েই ও রাফিনহাকে ছেড়ে দিচ্ছে। মাউরো ইকার্দি ও অ্যান্ডার হেরেরা থাকতে চাইলেও তাদের রাখার পক্ষে নয়।
বার্সার সঙ্গে মেসির ২১ বছরের সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে ছিন্ন হয়েছে গত বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাতে। নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি মেসি। অনেক চেষ্টা করে কান্না লুকাতে পারলেন না। হাতে স্ত্রীর দেওয়া রুমাল দিয়ে নাক-চোখ মুছলেন, গুডবাই যে বলতে হবে প্রিয় ভক্তদের।
গলায় কথা আটকে যাচ্ছিল, নিজেকের একটু থামিয়ে নিয়ে মেসি বলতে শুরু করলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি জানি না কী বলতে হবে। গত কয়েক দিন ধরে ভেবেছি আমি কী বলতে পারি। সত্যি কথা, আমি কিছুই ভেবে পাইনি। এতগুলো বছর এখানে থাকার পর এই মুহূর্তটা আমার জন্য সত্যিই কঠিন, গোটা জীবনই এখানে কাটালাম। আমি এটার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না।’