কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ইরানকে বড় ব্যবধানে হারালেও দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডকে রুখে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার রাতে আল বায়ত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে। হ্যারি কেনদের ঘুম পাড়ানি ফুটবল দেখে বিরক্ত হয়েছিলেন গ্যালারিতে থাকা তাদের স্ত্রী, বান্ধবীরাও! কেউ বসে হাই তুলছিলেন, কেউ আবার খেলা ফেলে মনযোগ দেন মোবাইল ফোনে!
জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে এসেছিলেন কাইল ওয়াকার, জ্যাক গ্রিলিস, জর্ডন পিকফোর্ড, বুকায়ো সাকাদের স্ত্রী, বান্ধবীরা। তাদের আশা ছিল, আমেরিকাকে হারিয়ে সাউথগেটের দল বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট পেয়ে যাবে।
কিন্তু কোথায় কী? ম্যাচের কোনো সময়ই দেখে মনে হয়নি জিততে পারে ইংল্যান্ড। বিপরীতে আমেরিকার দাপট ছিল অনেক বেশি। যা দেখে গ্যালারিতে বসে যেন সময়ই কাটছিল না ইংলিশ ফুটবলারদের সঙ্গিনীদের।
ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্স এতটাই অনুজ্জ্বল ছিল যে তাদের স্ত্রী, বান্ধবীরাও যেন ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার অপেক্ষা করছিলেন। সকলের চোখেই অবিশ্বাস, বিরক্তির ছাপ ছিল স্পষ্ট। প্রতি বিশ্বকাপেই ইংল্যান্ডের ফুটবলারদের স্ত্রী, বান্ধবীদের নিয়ে আলাদা আগ্রহ থাকে।
এবারও তারা একসঙ্গে আছেন একটি বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে। যেটাকে বলা হচ্ছে ভাসমান প্রাসাদ। আগামী ২৯ নভেম্বর গ্রুপের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ গ্যারেথ বেলের ওয়েলস। ওই ম্যাচে কী সঙ্গিনীদের মন ভরাতে পারবেন হ্যারি কেনরা?