সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বুট। বিশ্বকাপ ট্রফি জয়ের মতোই এটা একটা সম্মানের পুরস্কার, যা উঠে কেবল একজনের হাতেই। সর্বোচ্চ গোলদাতা জয় করেন এই পুরস্কার। একাধিক ফুটবলারের গোল সমান হলে, অ্যাসিস্টে যে এগিয়ে থাকে তাকে দেওয়া হয় এই সম্মানজনক পুরস্কারটি।
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে কে জিতবেন সোনার বুট? এখন পর্যন্ত কে এগিয়ে গোল দেওয়ার ক্ষেত্রে? মেসি, নেইমার এবং রোনালদোদের অবস্থানই বা কোথায়?
যদিও কাতার বিশ্বকাপে একের পর এক অঘটন ঘটেই চলছে। কখনও আর্জেন্টিনা, জার্মানির মতো দল হেরে যাচ্ছে, কখনও আবার ইংল্যান্ডের মতো দল আটকে যাচ্ছে আমেরিকার বিরুদ্ধে। বেলজিয়ামের মতো শক্তিশালী দলও এবার পরাজিতের তালিকায়। এশিয়ার দেশগুলোর দাপট তো আছেই। এর মাঝেই বেশ কিছু ম্যাচে একাধিক গোল দেখা গেছে।
এবারের বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে রয়েছেন অনেকেই। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপে এবং ইকুয়েডরের এন্নার ভ্যালেন্সিয়া। দু’জনই করেছেন তিনটি করে গোল।
দুটি করে গোল করেছেন বেশ কয়েকজন ফুটবলার। সে তালিকায় রয়েছেন লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা), রিচার্লিসন (ব্রাজিল), বুকায়ো সাকা (ইংল্যান্ড), ফেরান তোরেস (স্পেন), মেহদি তারেমি (ইরান), অলিভিয়ের জিরু (ফ্রান্স), কডি গাকপো (নেদারল্যান্ডস), ব্রুনো ফার্নান্দেজ (পর্তুগাল) এবং আন্দ্রেজ ক্রামারিক (ক্রোয়েশিয়া)।
প্রথম ম্যাচে একটি গোল করেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে মনে হয়েছিল তিনি গোল করেছেন। পরে দেখা গেলো ব্রুনো ফার্নান্দেজের শটটি তার মাথায়ও লাগেনি। এ পর্যন্ত একটি গোলই এসেছে তার পা থেকে। নেইমার প্রথম ম্যাচে ভালো খেললেও গোল পাননি। চোটের কারণে গ্রুপ পর্বে তার আর খেলার সম্ভাবনা নেই। এ অবস্থায় রোনালদো এবং নেইমার একটু পিছিয়েই রয়েছেন এ তালিকা থেকে। যদিও সুযোগ এখনও আছে তাদের সামনে।
বিশ্বকাপে যে গোলরক্ষক সবচেয়ে বেশি গোল বাঁচাতে পারেন, তিনি জেতেন সোনার গ্লাভস বা গোল্ডেন গ্লাভস। সেই তালিকায় এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছেন মিলিঙ্কোভিচ-সাভিচ। সার্বিয়ার গোলরক্ষক ১২টি গোল বাঁচিয়েছেন। সুইজারল্যান্ডের গোলরক্ষক ইয়ান সমার ৯টি গোল বাঁচিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। ৮টি করে গোল বাঁচিয়েছেন পোল্যান্ডের ওজসিয়েচ শেজিনি, জাপানের শুইচি গন্ডা এবং কানাডার মিলান বোরজা। এদেরও কাছে সুযোগ রয়েছে সোনার গ্লাভস জয়ের।
গোল্ডেন বলের হিসাব এখনই করা যাবে না। কারণ, টুর্নামেন্ট এখনও বহুদূর বাকি।