আগের ম্যাচেই ইতিহাসের সেরা লজ্জা পেয়েছিলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। লিভারপুলের কাছে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিলো তারা। সম্ভবত সেই বিশাল পরাজয়ের ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি তারা। যে কারণে রোববার রাতে ঘরের মাঠে সাউদাম্পটনের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করতে বাধ্য হলো এরিক টেন হাগের শিষ্যরা।
পয়েন্ট টেবিলের একেবারে তলানীতে অবস্থান করছে সাউদাম্পটন। ম্যাচটি ছিল আবার ম্যানইউর ঘরের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। এমন একটি ম্যাচে জয়ই ছিল ম্যানইউর প্রাপ্য। সেখানে গোল তো পেলোই না তারা, উল্টো ম্যাচের আধাঘণ্টা পার হওয়ার খানিক পরই লাল কার্ড দেখে মাঠ থেকে বহিস্কার হন ব্রাজিলিয়ান তারকা ক্যাসেমিরো। ১০ জনের দলে পরিণত হয় ম্যানইউ।
ক্যাসেমিরোরর লাল কার্ড নিয়ে কোচ এরিক টেন হাগ বলেন, ‘ইউরোপে প্রায় পাঁচশোর মতো ম্যাচ খেলেছে ক্যাসেমিরো, কখনও লাল কার্ড দেখেনি। কিন্তু ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দু’বার লাল কার্ড দেখে ফেলল! তবে এমন হতেই পারে।’
সাউদাম্পটনের সঙ্গে ড্র করার ফলে মাত্র ১টি পয়েন্ট পেলো ম্যানইউ। টেবিলে ২৬ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরেই রইলো রেড ডেভিলরা। ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে আর্সেনাল, ৬১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ম্যানসিটি।
প্রথমার্ধে কয়েকটি সুযোগ নষ্ট হওয়া, লাল কার্ড দেখে ক্যাসেমিরোর মাঠ ছেড়ে যাওয়ার পরও ম্যানইউ চেষ্টা করে গোল আদায় করার। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল পেতে পারতো ম্যানইউ। কিন্তু ব্রুনো ফার্নান্দেজের শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। স্ট্রাইকার মার্কাস রাশফোর্ডের একটি শট অসাধারণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন সাউদাম্পটন গোলরক্ষক।
সাউদাম্পটনও গোলের চেষ্টা করেছিলো। দলটির ফুটবলার থিও ওয়ালকট পয়েন্ট ব্লাঙ্ক রেঞ্জ থেকে হেড নিয়েছিলেন। কিন্তু অসাধারণ দক্ষতায় সেই হেড রক্ষা করেন ম্যানইউ গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়া। কাইল ওয়াকারের একটি শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। যে কারণে বেঁচে যায় ম্যানইউ।