কাতার বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া আর্জেন্টিনার দলটি ছিল বেশ ভারসাম্যপূর্ণ। যেখানে লিওনেল মেসি, ডি মারিয়া, ওটামেন্ডির মতো অভিজ্ঞরা ছিলেন। প্রথম বিশ্বকাপ হলেও পারদেস, ডি পল, মার্টিনেজদের বয়স ৩০ বছরের কাছাকাছি। অন্যদিকে দলটিতে এনজো ফার্নান্দেজ, লিয়ান্দ্রো মার্টিনেজ, নাহুয়েল মলিনার মতো তরুণরাও ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডায় যৌথভাবে অনুষ্ঠিত ২০২৬ বিশ্বকাপে ওই দলে অবধারিতভাবে আসবে বড় পরিবর্তন। সংবাদ মাধ্যম গোল তার একটি ধারণা দিয়েছে। তাদের মতে, মেসি, ডি পল, তাগলিয়াফিকো ওই বিশ্বকাপে থাকবেন না। ওই জায়গায় আলমাদা, লো চেলসো, গারনাচো একাদশে ঢুকবেন।
গোলরক্ষক: এমি মার্টিনেজের বয়স ৩০ বছর। যদিও আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে তার অভিষেক গত বছর। ২৬ ম্যাচের ছোট্ট ক্যারিয়ারে তিনি তিনটি মেজর শিরোপা জিতে আস্থার প্রমাণ দিয়েছেন। গোলরক্ষকদের ক্যারিয়ার যেহেতু দীর্ঘ হয় আগামী বিশ্বকাপে তাকে পাওয়ার আশা করতেই পারে আর্জেন্টিনা।
মিডফিল্ড: এনজো ফার্নান্দেজের বয়স মাত্র ২১ বছর। শুরুর একাদশে অনিশ্চিত ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিতেছেন সেরা উদীয়মানের পুরস্কার। মেসিরা না থাকলে ২০২৬ বিশ্বকাপে বড় তারকা হয়ে পা রাখবেন তিনি। তার সঙ্গী ধরা হয়েছে লিয়ান্দ্রো পারদেসকে। যদিও ডি পলের বয়সও তার মতোই ২৮। ফিট ও ফর্মে থাকলে ডি পলের মতো একজনকে বাদ দেওয়ার চিন্তা কোচ করবেন না। তাদের সঙ্গে থাকতে পারেন জিওভান্নি লো চেলসো। স্কালোনির কৌশলে আর্জেন্টিনার ছকটা মাঝমাঠ থেকে ধরে রাখার মূল দায়িত্ব পালন করতেন এই লো চেলসো। ইনজুরিতে তার বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া দলটির জন্য বড় ধাক্কা হয়ে এসেছিল। তবে ম্যাক অ্যালিস্টারকে রাখা হয়নি।
ফরোয়ার্ড: তারকা খ্যাতি নিয়ে এবং পরিপক্ক হয়ে পরবর্তী বিশ্বকাপে যাবেন হুলিয়ান আলভারেজ। কাতার বিশ্বকাপে তিনি চার গোল করে জাত চিনিয়েছেন। তার সঙ্গে দুই উইঙ্গে দুই তরুণকে দেখা যেতে পারে। গোলের মতে, ম্যানইউতে খেলা ১৮ বছরের অ্যালেজান্দ্রো গারনাচো খেলতে পারেন লেফট উইঙ্গে। আর রাইট উইঙ্গে দেখা যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে খেলা থিয়াগো আলমাদা।