নাসিমরুমি: সম্প্রতি এক ভিডিওতে মেসির উদ্দেশ্যে দালমা বলেছেন, ‘মনে রেখো, আমার বাবা কিন্তু তোমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। ভাবতে পারো, তিনিই এই দলের দ্বাদশ ব্যক্তি। এ বারের বিশ্বকাপে বাবার না থাকা প্রত্যেক মুহূর্ত উপলব্ধি করছি। তাই তোমাদের কাছে আমার একান্ত অনুরোধ, এবার বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে ফিরতেই হবে। তা হলেই বাবা সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাবেন। মনে রেখো, উনি কিন্তু তোমাদের দেখছেন।’
মেয়ের আবগে ভরা এমন আর্তনাদ বিহ্বল করেছে বিশ্বকে। ফুটবল এমনই এক আবেগের জায়গা। কখনও সেটি নাটকের ট্রাজেডি হয়ে ধরা দেয়, কখনও উপন্যাসের রোমান্টিক নায়ক হয়ে। দর্শক হিসেবে ফুটবলকে আমরা যতটা উপভোগ করি, মাঠের খেলোয়াড়েরা সে হিসেবে একটু এগিয়েই থাকবেন। যদিও দর্শক বিহীন ফুটবল, প্রাণ বিহীন দেহের মতোই।
এই ফুটবলকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পিছনে আর্জেন্টাইন তারকা দিয়াগো ম্যারাডোনার অবদান অনস্বীকার্য। দলকে জিতিয়েছেন সর্বোচ্চ পুরস্কার বিশ্বকাপ ট্রফি। মাঠের খেলা শেষ করলেও দর্শক হিসেবে নিয়মিত মাঠে যেতেন ম্যারাডোনা। বেশিরভাগ সময়ে সঙ্গে থাকতেন কন্যা দালমা। বাবার ধারাবর্ণনায় দালমা উপভোগ করতেন ফুটবলের শুদ্ধ স্বাদ।
কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস যে, এবার কাতার বিশ্বকাপে দালমার সঙ্গে নেই বাবা ম্যারাডোনা। তাই বাবাকে এভাবেই ঘরে ফেরানোর আকুতি জানিয়েছেন দালমা। অন্যদিকে শেষ বিশ্বকাপে মেসিও চাইবেন শিরোপা নিয়ে ঘরে ফিরতে।
কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা রয়েছে ‘সি’ গ্রুপে। আগামী ২২ নভেম্বর বিকেল ৪টায় সৌদি আরবের বিপক্ষে মাঠে নামবে লিওনেল মেসির দল। এ ছাড়া ২৭ নভেম্বর রাত ১টায় মেক্সিকো এবং ১ ডিসেম্বর একই সময়ে পোল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে আর্জেন্টিনা।