গোটা ম্যাচে রক্ষণ সামলাতেই ব্যস্ত ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে গোলবারের উদ্দেশ্যে রিয়ালের চেয়ে ২০টি বেশি শট নেয় ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। তবে একটি ভালো সুযোগে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের লক্ষ্যভেদ পাল্টে দেয় ম্যাচের দৃশ্যপট। নিজের করা একমাত্র জয়সূচক গোলে ক্যারিয়ারের প্রথম চ্যাম্পিয়নস লীগ শিরোপা উঁচিয়ে ধরলেন ব্রাজিলিয়ান তরুণ। একই সঙ্গে গড়লেন অনন্য রেকর্ড। পঞ্চম কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হিসেবে ফাইনালে গোল করার কীর্তি অর্জন করার পথে লিওনেল মেসির রেকর্ড ভাঙলেন ভিনিসিয়ুস।
গোটা ম্যাচে লিভারপুলের গোলবারের উদ্দেশ্যে ৪টি শট নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। যার লক্ষ্যে ছিল ২টি। সবকটি শটই দ্বিতীয়ার্ধে নেয় রিয়াল। প্রথমার্ধে নিষ্প্রভ রিয়াল এগিয়ে যায় ৫৯তম মিনিটে। ভালভার্দের পাসে ডি-বক্সের বাঁ প্রান্তে বল পেয়ে বল জালে পাঠান ভিনিসিয়ুস।
মাত্র ২১ বছর ১০ মাস এবং ১৬ দিন বয়সে চ্যাম্পিয়নস লীগ ফাইনালে গোল করলেন এই ব্রাজিলিয়ান। আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির চেয়ে ১৮ দিন কম বয়সে এই কীর্তি অর্জন করলেন ভিনিসিয়ুস। অর্থাৎ, মেসিকে ষষ্ঠ স্থানে পাঠিয়ে পঞ্চম স্থান দখল করলেন রিয়াল মাদ্রিদ স্ট্রাইকার।
চ্যাম্পিয়নস লীগ ইতিহাসে ফাইনালে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হলেন নেদারল্যান্ডসের প্যাট্রিক ক্লুইভার্ট। ১৮ বছর ৩২৭ দিন বয়সে কীর্তিটি গড়েছিলেন বার্সেলোনা, এসি মিলান ও নিউক্যাসল ইউনাইটেডে খেলা এই তারকা ফুটবলার।
দ্বিতীয় সর্র্বকনিষ্ঠ গোল স্কোরার কার্লোস আলবের্তো। ১৯ বছর ১৬৭ দিন বয়সে কীর্তিটি গড়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার। তালিকার তিনে থাকা জার্মান মিডফিল্ডার লার্স রিকেন চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে গোল করেছিলেন ২০ বছর ৩২২ দিন বয়সে। আর চতুর্থ হলেন ভিনিসিয়ুসের সতীর্থ মার্কো অ্যাসেনসিও। ২১ বছর ১৩৩ দিন বয়সে চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে গোল করার কীর্তি গড়েছিলেন তিনি।
চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন ভিনিসিয়ুস। গোটা মৌসুমে ৫২ ম্যাচে ২২ গোল করার সঙ্গে অ্যাসিস্ট করেন ২০টি গোলে। চ্যাম্পিয়নস লীগে ১৩ ম্যাচ খেলে ৪ গোল করেন ভিনিসিয়ুস। অ্যাসিস্ট করেছেন ৭টি গোলে। চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে পৌঁছার লড়াইয়ে নক আউট পর্বের প্রত্যেক ম্যাচে গোল কিংবা অ্যাসিস্ট করার কীর্তি দেখিয়েছেন ভিনিসিয়ুস।