নাসিম রুমি: জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ফুটবলার ও সংগঠক বাদল রায় নেই আজ তিন বছর। ২০২০ সালে আজকের (বুধবার) এই দিনে দুনিয়া ত্যাগ করেছিলেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এই ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব।
সত্তর দশকের শেষদিকে ঢাকা মোহামেডানের হয়ে ফুটবলার হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু। এক দশকের বেশি সময় তিনি সাদা-কালো জার্সিতেই খেলেছেন। এক সময় আবাহনীর লোভনীয় প্রস্তাবও ফিরিয়েছেন মোহামেডানকে ভালোবেসে। খেলা ছাড়ার পর মোহামেডানের ম্যানেজার ও দলনেতার ভূমিকায়ও ছিলেন বাদল রায়।
নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝিতে তিনি ক্লাবের গণ্ডি পেরিয়ে ফেডারেশনের কর্মকর্তা হন। একই দশকে যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন বাদল রায়। ২০০৮-২০২০ পর্যন্ত ছিলেন সহ-সভাপতি। জাতীয় দল, ডেভলপমেন্ট ও রেফারিজ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন এই কৃতি ফুটবলার।
ফুটবলের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি, উপ-মহাসচিব এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোষাধ্যক্ষও ছিলেন।
খেলোয়াড়ী জীবন থেকেই বাদল ছিলেন রাজনৈতিক সচেতন। ১৯৮১ সালে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ডাকসুর ক্রীড়া সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে আওয়ামী লিগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এরপর আমৃত্যু জড়িত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লিগের রাজনীতির সঙ্গে।
২০১৬ সালে আকস্মিকভাবে স্ট্রোক করেন বাদল। প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা করিয়ে তিনি দেশেও ফিরেন। অসুস্থ শরীর নিয়েও আসেন ফেডারেশনে।
এরপর ফুটবল নিয়ে কাজ করেন, ক্যাসিনো কাণ্ডের পর বাদল রায়ের নেতৃত্বেই নতুন জীবন পায় মোহামেডান। মোহামেডান নতুন জীবন পেলেও নানা অসুস্থতায় তিনি আর কর্মস্থলে ফিরতে পারেননি। ২২ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সবার প্রিয় বাদল রায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।