English

22 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

ফুটবল বিশ্বকাপ: ৪০০ থেকে ৫০০ অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যুর কথা জানালো কাতার

- Advertisements -

বিশ্বকাপ ফুটবল-২০২২ এর আয়োজনে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। আর সেই প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ৪০০ থেকে ৫০০ অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যুর কথা এবার স্বীকার করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

ফুটবল বিশ্বকাপের মতো বড় এই খেলার আয়োজক কমিটির প্রধান হাসান আল-থাওয়াদি এক সাক্ষাৎকারে এ কথা স্বীকার করেন। তবে হতাহতের সংখ্যা কত তা সঠিক ভাবে জানাতে পারেননি তিনি।

যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক পিয়ার্স মরগ্যানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই সংখ্যা ৪০০ থেকে ৫০০ জনের মধ্যে হবে। তবে একেবারে সঠিক তথ্য আমার জানা নেই।’ সোমবার তার ওই সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করা হয়।

তিনি বলেন, ‘একজনের মৃত্যুই অনেক কিছু, এটি খুব স্বাভাবিক। প্রতিবছর আমাদের দিক থেকে আমরা স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়গুলোর উন্নতি করেছি। বিশেষ করে বিশ্বকাপ আয়োজনে আমরা যে জায়গাগুলোতে দায়বদ্ধ।

মঙ্গলবার কাতারের সুপ্রিম কমিটি ফর ডেলিভারি অ্যান্ড লিগ্যাসির (এসসি) একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে বলেন, ‘২০১৪ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে কাতারজুড়ে সব কর্মস্থলের (৪১৪) সব খাতের ও সব কর্মীদের মৃত্যুর আলাদা পরিসংখ্যান রয়েছে।’

থাওয়াদির ওই সাক্ষাত্কারের পরে ফেয়ার স্কয়ারের অ্যাডভোকেসি গ্রুপের নিকোলাস ম্যাকগিহান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মিডিয়া সাক্ষাত্কারের মাধ্যমে ঘোষণা করা অস্পষ্ট পরিসংখ্যান নয়, আমাদের সঠিক তথ্য ও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত দরকার। ফিফা ও কাতারের কাছে এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর রয়েছে। কোথায়, কখন, এবং কীভাবে ওই শ্রমিকরা মারা গেছেন এবং তাদের পরিবার ক্ষতিপূরণ পেয়েছে কিনা এসব বিষয় নিয়ে তো প্রশ্ন আছেই।’

যদিও আয়োজনকারী কমিটি দেখিয়ে আসছে, ২০১৪ সালে টুর্নামেন্টের জন্য নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে কাজ করার সময় তিন জন প্রবাসী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এবং কাজে না থাকা অবস্থায় মারা গেছেন ৩৭ জন।

২০২১ সালে গার্ডিয়ান একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানো হয়, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা, এই পাঁচটি দেশ থেকে যাওয়া ৬ হাজার ৫০০ শ্রমিক মারা গেছে ২০১১ সালে দেশটি বিশ্বকাপ আয়োজনের অনুমতি পাওয়ার পর থেকে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচারবিষয়ক প্রধান স্টিভ ককবার্ন বলেন, ‘বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে মারা যাওয়া শ্রমিকের সংখ্যাকে ঘিরে বিতর্ক এখনও জরম বাস্তবতাকে প্রকাশ করছে। শোকাহত পরিবারগুলো এখনও সত্য ও ন্যায়বিচারের জন্য অপেক্ষা করছে। গত এক দশকে, হাজার হাজার শ্রমিক কফিনে বাড়ি ফিরেছে, তাদের প্রিয়জনকে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।’

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন