নাসিম রুমি: ইউরোপ এশিয়া ঘুরে নেইমার ফিরেছেন সান্তোসে। ব্রাজিলের এই ক্লাব থেকেই যে তার উত্থানের শুরুটা হয়েছিল। এবার নেইমার ফিরেছেন ১০ নম্বর জার্সি গায়ে। দ্বিতীয়ার্ধে নেইমার যখন বদলি হিসেবে নামলেন তাকে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরিয়ে দেওয়া হলো। গ্যালারিতে থাকা ভক্তদের কারও মুখে হাসি তো কারও চোখে জল। প্রত্যাবর্তনটা হলো ঠিক ৩৩তম জন্মদিনে। ব্রাজিলিয়ান পাউলিস্তা চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচটিতে বোতাফোগো এফসির বিপক্ষে নেইমারের নামার সময় সান্তোস ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে এক গোল হজম করে সান্তোস। তাতে ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়।
নেইমার গোল করতে না পারলেও দেখিয়েছেন তার জাদুকরী ড্রিবলিং। তবে চোটের কারণে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকায় অস্বস্তি আর জড়তা দেখা গেছে। একবার গোল করার সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন। দুই ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে শট নিয়েছিলেন। তবে বোতাফোগোর গোলকিপার তা রুখে দেন। দুবার নেইমারের পাস থেকে গোলের সুযোগ তৈরি হয়েছিল। তবে কার্যকর কিছু হয়নি। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতেই প্রতিপক্ষের ফুটবলারদের অনেকে নেইমারের সঙ্গে কথা বলা, ছবি তোলার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েন।
ম্যাচ শেষে নেইমার বলেন, ‘ভালোবাসার কোনো কিছু করতে পারার যে অনুভূতি, এটা প্রকাশ করার ভাষা জানা নেই আমার। সান্তোসকে অনেক ভালোবাসি আমি এবং আজ যখন মাঠে নেমেছি, ওই সময়ের অনুভূতি কোনোভাবেই বোঝাতে পারব না কাউকে। ম্যাচটি কঠিন ছিল। রক্ষণে ওরা অনেক ভালো দল, অনেকটা নিচে নেমে খেলে। আমাকে ধৈর্য ধরতে হবে এবং আরও অনুশীলন করে যেতে হবে।’
তবে ছন্দ ফিরতে যে আরও ম্যাচটাইম প্রয়োজন তা ভালোই জানেন ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতা নেইমার। ‘আমার (মাঠে) আরও সময় প্রয়োজন, আরও ম্যাচ দরকার। তবে আজ যতটা দৌড়েছি, নিজেও এতটা আশা করিনি।’ তবে অভিষেক ম্যাচেই তিনি ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান।