কত ধরনের রহস্যময় ঘটনাই না ঘটে এই পৃথিবীতে। কিছু ঘটনার যুক্তি পাওয়া যায়। কিছু জিনিস নিয়ে আবার সন্দেহ তৈরি হয়। স্কটল্যান্ডের ডাম্বারটনে এমন এক সেতু রয়েছে যেখানে গেলেই অনেকটা পাগল হয়ে পোষা কুকুর আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ওই সেতুর নাম ওভারটাউন ব্রিজ।
পঞ্চাশের দশক থেকে এই ঘটনা ঘটছে। সেই কারণেই স্কটল্যান্ডের এই সেতুটিকে ‘ডগ স্যুইসাইড ব্রিজ’ বলা হয়। স্থানীয়দের কারও কারও দাবি, ১৯৫০ সাল থেকে তিনশোরও বেশি কুকুর এই সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। কেউ কেউ আবার দাবি করেন, সংখ্যাটা দ্বিগুণ। তাদের মতে, প্রায় ৬০০ কুকুর সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। যার মধ্যে কয়েকটি কুকুরের মৃত্যুও হয়েছে।
জানা গেছে, সেতুর নিচে একটি নদী রয়েছে কিন্তু তা বছরের বেশিভাগ সময়ই শুকনো থাকে। নদীর নিচের অংশে মাটির বদলে রয়েছে পাথর। সেখানেই ঝাঁপ দেয় কুকুররা। এভাবে ঝাঁপ দিয়েই অনেকগুলি কুকুরের মৃত্যু হয়েছে। আর যে কুকুরগুলো বেঁচে শোনা যায় সেগুলোর অনেকে ফের আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।
২০১৪ সালে নিজের পোষা কুকুর নিয়ে ভারটাউন ব্রিজে গিয়েছিলেন এলিস ট্রাভেরো নামের একজন। তার দাবি, ব্রিজে ওঠার পর থেকেই তার শান্ত কুকুরটি বিচলিত হয়ে ওঠে। কিছুক্ষণ আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকার পর সোজা নিচে ঝাঁপ দেয়।
ওই সেতুটির কাছাকাছি বসবাসরত বব হিল জানান, তিনি এবং তার স্ত্রী ১৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে সেখানে থাকছেন। এই সময়ের মধ্যে তারা অনেকগুলো কুকুরকে ওই সেতু থেকে নিচে ঝাঁপ দিতে দেখেছেন।
কিন্তু কি কারণে কুকুরা এমন কাণ্ড করে তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে। স্থানীয়দের কেউ কেউ দাবি করেন সেতুটি অভিশপ্ত। সেতুটির পাশেই রয়েছে ওভারটাউন হাউজ। সেই বাড়ির মালিকের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী একা এখানে দিনের পর দিন কাটিয়েছেন। তার অতৃপ্ত আত্মার প্রভাবেই নাকি এই ঘটনা ঘটে। কিন্তু যুক্তিবাদীরা এই তত্ত্ব মানতে নারাজ। এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই বলেও মত দিয়েছন তারা। অনেকে মনে করেন, সেতুর পাশে সিমেন্টের চওড়া দেওয়াল রয়েছে। কুকুররা হয়তো সেই কারণেই দেওয়াল ও রাস্তার পার্থক্য বুঝতে পারে না।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন