বাঁশ। খেয়েছেন কখনো? প্রশ্ন শুনে হয়তো চমকে উঠবেন, ভ্রু কোঁচকাবেন। অথচ, বাঁশের তরকারি খুবই সুস্বাদু। আর বাঁশ ফুল বা ফলের স্বাদই আলাদা। তবে, এর ফুল ও ফলের ভেষজগুণ এমনই যে অনুসন্ধানীরা খোঁজ পাওয়া মাত্র লোপাট করে দেয়।
বলা হয়ে থাকে, যৌবনকে ধরে রাখতে বাঁশ ফুল ও ফল ধন্বন্তরি। ২০১৭ সালে বান্দরবানের দূর্গম বোলপুরের এক বিশাল এলাকার বাঁশঝাড়ে ফুটেছিলো ফুল, আর ফল। বুঝতেই পারছেন, ভেষজ ঔষধের কারবারিরা জীবনের মায়া তুচ্ছ করে ছুটেছিলো সেখানে। বোলপুরে যে জাতের বাঁশে ফুল ফুটেছিলো, সেই জাতে ফুল ফোটে একশ’ বছর পর পর। আরেকটি জাত আছে, তাতে ফুল ফোটে সোয়াশ’ বছর পর পর।
মিজোরামে এক প্রকার বাঁশ আছে সেটায় ৪৮ বছর পর পর। এই জাতের বাঁশ নিয়ে আফ্রিকা, ইউরোপ, আমাজানে রোপন করে দেখা গেছে ফলাফল একই। জাপানি বাঁশে ফুল ও ফল হয় ১৩০ বছর পর পর। আফ্রিকার বাঁশে ফুল ও ফল হয় কোনটিতে প্রতি বছর, কোনটিতে তিন বছর পর পর। আবার ৫০ বছর পর পর ফুল ও ফল হয় এমন বাঁশও আছে দুনিয়ায়।
অতি প্রয়োজনীয় এই গুল্ম জাতীয় বৃক্ষের আচরণ বড় অদ্ভুত। এলাকা বা আবহাওয়া বদলালেও বাঁশ তার স্বভাব বদলায় না। মিশ্রণ বা সংকরায়ন ঘটানো যায় না। তবে আগেই বলেছি যৌবনের স্থায়িত্ব বৃদ্ধিতে এই ফুল ও ফলের ব্যবহারের কারণে ঔষধ ব্যাবসায়ীরা তা সাধারণ মানুষের চোখ পর্যন্ত পৌঁছাতে দেয় না।
তবে বান্দরবানের বোলপুরে ফোটা ফুলের ছবি, ভিন্নজাতের বাশফুলের ছবি আর জলপাইয়ের চেয়ে একটু বড়ো আকারের বাঁশফলের ছবি আমি সংগ্রহ করে সবার জন্যই পোস্ট করলাম। আরও একটি বাঁশ তরকারি সবসময় পার্বত্য এলাকা, এমন কি সমতলেও পাওয়া যায়। অঙ্কুরোদগমের সময়ই বাঁশ চারাকে মাটির হাঁড়ি দিয়ে চেপে দেয়া হয়। তারপর কাদামাটি দিয়ে লেপে দেয়া হয় হাঁড়ির কিনারা। ভেতরেই বাঁশ বৃদ্ধি পায় নরম হয়ে। সেটা রান্না করা হয়। খুবই মজা। সুযোগ পেলে এই বাঁশ খেতে দ্বিধা করবেন না।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন