আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি, বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে ভালোবাসা দিবস। এই দিবসে কিছু দেশে ভালবাসার উদযাপন হলেও তা হয় অভিনব ভঙ্গিতে। আবার কিছু দেশে একদমই অন্য কিছু ঘটে ১৪ ফেব্রুয়ারি। আসুন জেনে নেওয়া যাক, কোন দেশে এ দিন কাটে কেমন করে।
ফ্রান্স
ফ্রান্সের এক ছোট্ট গ্রামের নাম ভ্যালেনটাইন। সে গ্রাম এদিন সেজে ওঠে দারুণভাবে। প্রত্যেকটি বাড়ি গ্রিটিংস কার্ড, ভালবাসার বার্তা, প্রেমের প্রস্তাব লেখা চিরকুটে সাজিয়ে তোলা হয়। লতা-পাতা ফুলও থাকে সেই অন্দরসজ্জায়। বাড়ির বাগানও সাজানো হয় একই ভাবে।
দক্ষিণ কোরিয়া
শুধু ১৪ ফেব্রুয়ারি নয়, এ দেশে ভালোবাসার উদযাপন হয় প্রত্যেক মাসের ১৪ তারিখে। গোলাপ দিবস পালন করা হয় মে মাসে, চুম্বন দিবস জুনে এবং আলিঙ্গন দিবস এপ্রিলে।
ঘানা
১৪ ফ্রেব্রুয়ারি এ দেশে জাতীয় চকোলেট দিবস হিসেবে পালিত হয়। দেশের পর্যটন বাড়ানোর জন্য এ উদ্যোগ নিয়েছিল ঘানার সরকার।
আর্জেন্টিনা
ভালোবাসার উদযাপন হয় লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনাতেও। কিন্তু তা ফেব্রুয়ারি মাসে নয়, জুলাই মাসে। কাছের মানুষকে চকোলেট বা অন্য কোনও উপহার দেওয়ার রীতি রয়েছে এ দেশেও।
বুলগেরিয়া
যারা ওয়াইন তৈরি করেন, বুলগেরিয়ায় তাদের নামে এ দিন উৎসর্গ করা হয়েছে। তবে ১৪ ফেব্রুয়ারি যুগলে বসে ওয়াইন খাওয়ার রীতি রয়েছে বটে।
ডেনমার্ক
ভালোবাসার উদযাপন হয় বটে, তবে খানিক অভিনব কায়দায়। ভালোবাসার মানুষকে এ দিন হাতে তৈরি কার্ড দেওয়া হয়। তবে যে সে কার্ড নয়, সাদা ফুল শুকিয়ে তা কাগজে ফুটিয়ে তোলা হয়। এর নাম স্নোড্রপ।
রোমানিয়া
১৪ নয়, ২৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসার উদযাপন হয় এ দেশে। বিভিন্ন জুটি এ দিনে বাগদান পর্ব সেরে ফেলেন। এদিন সৌভাগ্যের আশায় সাধারণত বরফে মুখ ধুয়ে নেন তারা।
জাপান
মনে আছে স্কুলবেলার প্রেমের কথা? অনেক সাহস জুটিয়ে হয়তো কাউকে উপহার দিয়েছিলেন কিছু। কিন্তু অপরজন তা নির্মমভাবে ফিরিয়ে দিলেন। জাপানে থাকলে সে দুঃখ খানিক কমবে। ১৪ ফেব্রুয়ারি কোনও উপহার দিতেই পারেন পছন্দের মানুষকে। তিনি ফিরিয়ে দিতে চাইলে তাকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সে দিন ‘হোয়াইট ডে’ পালন করা হয়।
ওয়েলস
যুক্তরাজ্যের অন্তভুক্ত দ্বীপরাষ্ট্র ওয়েলস। সেখানে ভালোবাসা দিবস উদযাপন হয় জানুয়ারির ২৫ তারিখে। স্থানীয়ভাবে এদিনকে বলা হয় ‘ডে অব সানডাইনওয়েন’। এদিন ভোর থেকেই ভালোবাসা উদযাপনে মেতে ওঠেন সেখানকার বাসিন্দারা।
স্পেন
স্পেনেও উদযাপিত হয় ভালোবাসা দিবস। তবে সেটি ১৪ ফেব্রুয়ারি নয়, বরং ৯ অক্টোবর ভালোবাসা দিবস হিসেবে বেছে নিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। দিনটিকে তাদের কাছে ‘সেন্ট ডায়নিসাস’ নামে পরিচিত।