আজ ১৭ অক্টোবর, প্রাক্তনকে ক্ষমা করে দেওয়ার দিন। ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু হয় বিচিত্র দিবসটির। আন্তর্জাতিকভাবে সব দেশে স্বীকৃত না হলেও সাম্প্রতিক সময়ে ১৭ অক্টোবর-এ দিবসটি এলে আলোচনায় থাকে। যার চর্চা বেশি লক্ষ্য করা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রাক্তনকে ক্ষমা করার দিন (Forgive an Ex Day) আজ।
বয়ফ্রেন্ড কিংবা গার্লফ্রেন্ড যাই হউক যাও, মাফ করে দিলাম এমন কথা বলে প্রাক্তনকে ক্ষমা করে দেয়াটাই যেন উদারতা। চলে যাওয়া মানুষটিকে নিজের ভেতর ঘৃণায় বাঁচিয়ে রাখার কোন মানে হয় না। কেবলই যেন বুকের ওপর অনড় জগদ্দল পাথর চাপিয়ে রাখা। তার চেয়ে প্রাক্তনকে নিঃশর্তে ক্ষমা করে দিলে কেমন হয়! অসহনীয় অতীতকে ভুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে এর চেয়ে সহজ পথ বোধ হয় কমই আছে। এমন প্রতিপাদ্য নিয়েই দিবসটির যাত্রা শুরু।
প্রাক্তনের প্রতি অভিমান মেশানো জিজ্ঞাসা থাকে অনেকের। কিন্তু অধিকাংশেরই থাকে হাজারটা অভিযোগ, প্রবল ঘৃণা ও ক্ষমাহীন ক্ষোভ। হয়তো এই সব অনুভূতির পেছনের কারণগুলো যথার্থই যৌক্তিক। ভুল-ত্রুটি ও ভালো-মন্দের মিশেলে মানুষের জীবন। কেউ ভুল-ত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়। কিন্তু কারো ভুলে তার প্রতি ক্রোধ দেখানো, রাগ ঝাড়া, জেদ-উত্তেজনা কিংবা উগ্র-কাতর হওয়া ভীষণ নিন্দনীয়। এসব মানুষকে ছোট করে। বিপরীতে ক্ষমা মানুষের মান-মর্যাদা বাড়ায়। কাউকে ক্ষমা করে একজন সাধারণ মানুষও হয়ে উঠতে পারেন অসাধারণ মানুষ।
কিন্তু তা বলে অনুভূতিগুলো সারা জীবন ধরে পুষে রাখারও কি যৌক্তিক কারণ থাকে সব সময়? পুষে রাখা মানেই তো নিরন্তর মানসিক পীড়ন। চলে যাওয়া মানুষটিকে নিজের ভেতর ঘৃণায় বাঁচিয়ে রাখা শুধু। কেবলই যেন বুকের ওপর অনড় জগদ্দল পাথর চাপিয়ে রাখা। তার চেয়ে প্রাক্তনকে নিঃশর্তে ক্ষমা করে দিলে কেমন হয়! অসহনীয় অতীতকে ভুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে এর চেয়ে সহজ পথ বোধ হয় কমই আছে।
চলে গেছে যে মানুষ ফেরার আকুতিকে উপেক্ষা করে, যেতে দিন তাকে। প্রাক্তনকে ক্ষমা করে দেওয়ার এই দিবসে আরেকবার মনে করুন। যা আছে অভিযোগ, ক্ষোভ কিংবা ঘৃণা—সব ভুলে গিয়ে বলে দিতে পারেন, ‘যাও, তোমাকে মাফ করে দিলাম।’
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন