বিশ্বব্যাপী দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। এই সময়ের মধ্যে বহু দেশে প্রতিদিন করোনা সংক্রমণের নতুন রেকর্ড হয়েছে; আবার লাখ লাখ মানুষ সংক্রমণে মারাও গেছে।
বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারির ক্ষতি সবচেয়ে বেশি। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং ভারতেও করোনার ব্যাপক ধাক্কা লেগেছে।তবে বিশ্বের কিছু দেশে করোনা সংক্রমণের ধাক্কা এখনো লাগেনি।
এসব দেশ এবং অঞ্চলগুলোর বেশিরভাগই প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগরের দ্বীপ এবং শুধু সমুদ্রের সীমান্তের পাশে অবস্থিত। কয়েক মাস আগেও এই তালিকা দীর্ঘ ছিল। তবে এটা এখন অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে।
টোঙ্গায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর ত্রাণ নিয়ে জাহাজ পৌঁছানোর জেরে করোনা সংক্রমণ সেখানেও ধরা পড়েছে। গত সপ্তাহে কুক দ্বীপেও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
টুভালু: তিনটি রিফ দ্বীপ এবং ছয়টি প্রবালপ্রাচীর মিলে টুভালু গঠিত। কমনওয়েলথের সদস্য টুভালু করোনা মহামারি শুরু হওয়ার সময়ই সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল। সেই সঙ্গে কঠোরভাবে কোয়ারেন্টিনবিধি মেনে চলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে, সেখানে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ করোনা টিকা নিয়েছেন।
টোকেলাউ: দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্রবালপ্রাচীর ঘেরা ক্ষুদ্র টোকেলাউ’কে করোনামুক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে ডাব্লিউএইচও। দ্বীপটি নিউজিল্যান্ডের কাছে অবস্থিত। মাত্র একটি বিমানবন্দর রয়েছে। সেখানকার জনসংখ্যা এক হাজার ৫০০ জন।
সেইন্ট হেলেনা: দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত এলাকা। সেখানকার ৫৮.১৬ শতাংশ মানুষ করোনা টিকা নিয়েছেন। সেখানেও করোনা পৌঁছায়নি।
পিটকেয়ার্ন দ্বীপপুঞ্জ: এগুলো প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) বলেছে, পলিনেশিয়ানরা ছিল পিটকেয়ার্ন দ্বীপপুঞ্জের প্রথম বাসিন্দা। তবে ১৬০৬ সালে ইউরোপীয়রা সেটি আবিষ্কার করার সময় দ্বীপগুলো ছিল জনবসতিহীন। সেখানকার শতকরা ৭৪ জন করোনা টিকা নিয়েছেন।
নিউয়ী: এটি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপ। ডাব্লিউএইচও’র তালিকা অনুসারে, সেখানকার প্রতি ১০০ জনে ৭৯ জনেরও বেশি মানুষ এখানে করোনার সম্পূর্ণ টিকা নিয়েছেন।
এছাড়া নওরু এবং মাইক্রোনেশিয়াতেও করোনা সংক্রমণ ঘটেনি। তুর্কমেনিস্তান এবং উত্তর কোরিয়াকেও করোনামুক্ত দেশ হিসেবে তালিকায় রেখেছে ডাব্লিউএইচও।