যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই বোন কারিন ও ভগ্নিপতি ডগলাস রবিনসনের কাছ থেকে একটি পকেট ঘড়ি উপহার পেয়েছিলেন থিওডোর রুজভেল্ট। সিলভার রঙের ঘড়িটি সবসময় তার সঙ্গেই থাকতো। তার সঙ্গে ঘড়িটিও বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ করেছে। রুজভেল্টের মৃত্যুর পর ঘড়িটি নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে তার বাড়ি সাগামোর হিলের জাদুঘরে রাখা ছিল। কিন্তু ১৯৮৭ সালে জাদুঘরের একটি আনলক কেস থেকে চুরি হয় ঘড়িটি। ৩৭ বছর পর ঘড়িটিকে পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ঘড়িটিকে আবারও সাগামোর গিলের জাদুঘরে সর্বসাধারণের প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়। মার্কিন সংবাদ সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিসের (এনপিএস) বিশেষ এজেন্টরা, গোয়েন্দা সংস্থা-এফবিআইয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে ঘড়িটি খুঁজে বের করে। ৩৭ বছর ধরে ঘড়িটি নিখোঁজ ছিল। ঘড়িটির চুরি হওয়া ও খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি এখনও রহস্যময়। সামাগোর হিল ন্যাশনাল হিস্টোরিক সাইট থেকে নিউইয়র্কের বাফেলোতে থিওডোর রুজভেল্ট ইনোগ্রুয়াল হিস্টরিক সাইটে নেওয়ার সময় ঘড়িটি চুরি হয়ে যায়।
সাগামোর হিল ন্যাশনাল হিস্টোরিক সাইটের সুপারিনটেনডেন্ট জোনাথন পার্কার এক বিবৃতিতে বলেছেন,বর্তমানে জাদুঘরে রাখা রুজভেল্ট পরিবারের অন্যান্য জিনিসপত্রের সঙ্গে ঘড়িটিকেও রাখা হয়েছে। রূপার তৈরি ১২৬ বছর আগের এই ঘড়ির সঙ্গে মার্কিন ইতিহাসের রঙিন ও গভীর মুহূর্তগুলো জড়িত।
ঘড়িটির ফিরে আসার খবর দেওয়া হয় রুজভেল্টের প্রপৌত্র ট্যুইড রুজভেল্টকে জানানো হয়। শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে ৮২ বছর বয়সী ট্যুইড এ খবরে আবেগ প্রবণ হয়ে ওঠেন।
ঘড়িটি ফিরে পাওয়া উপলক্ষে আগামী তিন মাস সাগামোর জাদুঘরে এটিকে বিনামূল্যে সর্বসাধারণের প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। ওয়েস্টার বেতে অবস্থিত সাগামোর হিলের বাড়িতেই ১৯৮৫ থেকে ১৯১৯ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বসবাস করতেন রুজভেল্ট।
১৯০১ থেকে ১৯০৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ২৬ তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন রুজভেল্ট।