ভালোবাসার মানুষকে সুখী দেখতে মানুষ কী না করেন। প্রয়োজনে তার সুখের দায়িত্ব অন্য কারও হাতে তুলে দেওয়া যায়। এমনটা করলেন থাইল্যান্ডের পাথিমা চমনান। স্বামীকে খুশি রাখতে একজন ‘সুন্দরী এবং শিক্ষিত’ নারীকে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।
আমার অফিসে নথিপত্রের কাজে সাহায্য করতে দু’জনকে নিয়োগ করা হবে। অন্য একজনকে আমাদের যত্ন নেওয়ার জন্য নিয়োগ করা হবে। আমার, আমার স্বামী এবং আমার সন্তানদের। ‘ তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি যে আপনার এবং আমার মধ্যে কোনোদিনও কোনও ঝগড়া হবে না। ‘ তিনি বলেন, ‘প্রার্থীর সন্তান থাকলে চলবে না। কারণ সেটি একটি বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাদের ফিটফাট থাকতে হবে এবং গুছিয়ে কথা বলতে জানতে হবে। ‘
ওই নারী ভিডিওতে আরো বলেন, প্রার্থীদের পক্ষে আমার স্বামীকে খুশি করতে পারাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমার স্বামীকে সঙ্গ দিতে এবং বিনোদন দিতে পারদর্শী হতে হবে। তাই অবশ্যই একটি ভালো ব্যক্তিত্ব থাকতে হবে এবং মজার মানুষ হতে হবে।
পাথিমা জানান, তিনি ক্রনিক ডিপ্রেশনের সঙ্গে লড়াই করছেন। সেই কারণেই তিনি সাহায্য চান। তিনি বলেন, আমি আমার স্বামীর জন্য ‘সঙ্গী’ খুঁজছি। কারণ আমি শারীরিকভাবে অনেক কষ্টের মধ্যে রয়েছি। আমার ক্রনিক ডিপ্রেশন আছে। আমার এটা উপলব্ধি হচ্ছে যে, আমি আমার স্বামীর ভালোভাবে যত্ন নিতে পারছি না। স্বামীর সঙ্গে ঘুমাচ্ছি না। আমার খালি মনে হচ্ছে, আমি একজন ভালো স্ত্রী নই।
সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপনটি ভাইরাল দেখে চমকে গেছেন ওই নারীর স্বামী। এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না তিনি। বলেন, ‘আমার স্ত্রী বলেছিল যে সে আমার যত্ন নেওয়ার জন্য কাউকে চায়। আমার কোনোদিনই এমন কোনো ইচ্ছা ছিল না, কিন্তু আমার স্ত্রী যখন বলছেই, আমি না করব না। অন্য সব স্বামীদেরও এ বিষয়ে স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। ’
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, ওই দম্পতি এরই মধ্যেই তাদের জীবনে সেই তৃতীয় নারীকে পেয়ে গেছেন। পাথিমা ৩৩ বছর বয়সী একজন ‘সুন্দরী’ নারীকে নিয়োগ দিয়েছেন।