আলুর জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের জন্য আবেদন করেছিলো নিউজিল্যান্ডের কলিন ক্রেগ-ব্রাউন এবং তার স্ত্রী ডোনা দম্পতি যা নাকচ করে দিয়েছে গিনেস কর্তৃপক্ষ।
তারা তাদের খামারে উৎপাদিত হওয়া একটি বিশাল ওজনধারী আলুর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড স্বীকৃতির আবেদন জানিয়েছিলো। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এর পাঠানো এক ইমেইল বার্তায় সে আবেদন প্রত্যাখ্যান করে জানায়, তারা যেটাকে আলু ভাবছে তা আসলে লাউ।
গত আগস্টে এ দম্পতি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে ভারী আলুর স্বীকৃতি দেয়ার জন্য একটি আবেদন জমা দিয়েছিলেন, কিন্তু একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এটিকে কিউকারবিটেসি (Cucurbitaceae) জাতের একটি লাউয়ের কন্দ বলে চিহ্নিত করা হয়।
এই দম্পতি সেই দৈত্যাকার আলুর নাম রেখেছিলো ‘ডুগ’। ক্রেগ-ব্রাউন এবং ডোনা তাদের বাগানে এটি খুঁজে পাওয়ার পরে বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। তারা দাবি করেন এটি দেখতে এবং স্বাদে আলুর মতোই।
বিশ্বের সবচেয়ে ভারী আলুর জন্য বিদ্যমান রেকর্ড ২০১১ সালে ব্রিটেনে উৎপাদিত একটি আলুর, যার ওজন ছিল ৫ কেজির নিচে।
তাই তারা ৭.৮ কিলোগ্রাম ওজনের এই ডুগ এর নতুন রেকর্ডের স্বীকৃতির জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে আবেদন করেন।
কিন্তু এর কাগজপত্র এবং ছবিগুলো জমা দেয়ার কয়েক মাস পরে, গত সপ্তাহে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস থেকে একটি ইমেইল বার্তা পাঠানো হয়, সেখানে বলা হয়েছিল, “প্রিয় কলিন, দুঃখজনকভাবে আপনাদের পাঠানো নমুনাটি আলু নয় এবং প্রকৃতপক্ষে এটি এক ধরনের লাউয়ের কন্দ। এই কারণে দুর্ভাগ্যবশত আবেদনটি আমাদেরকে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।”
এ সংবাদে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ব্রাউন-ডোনা দম্পতি কিন্তু ডিএনএ নমুনার উপর ভিত্তি করে ফলাফল জানানো হয়েছে বলে তারা আর কিছু করতেও পারছেন না।
নিউজিল্যান্ডের উদ্ভিদ ও খাদ্য গবেষণার ডা. সামান্থা বাল্ডউইন, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, “আমরা আলুর সাথে এর নির্দিষ্ট ডিএনএ সিকোয়েন্স শনাক্ত করতে পারিনি।”
ডা. বাল্ডউইনের দল এই কন্দের নমুনার উপর বেশ কয়েকটি পরীক্ষা চালিয়েছে। তিনি আরও বলেন যে নমুনাগুলো স্কটল্যান্ডের সায়েন্স অ্যান্ড অ্যাডভাইস ফর স্কটিশ অ্যাগ্রিকালচার (এসএএসএ) এ পাঠানো হয়েছিল, যেখানে বলা হয়েছে ডুগের জেনেটিক সিকোয়েন্সিং লাউ এর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে মিলে যায়।