English

19 C
Dhaka
রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫
- Advertisement -

ভিক্ষা করেই মাসে আয় ২ লাখ

- Advertisements -

শুধু ভিক্ষা করে বছরে ২০ লাখ রুপির বেশি আয় করেন এক ভিক্ষুক। ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরে ভিক্ষা করে এই টাকা আয় করেন ইন্দিরা নামের সেই নারী ভিক্ষুক। সেই টাকা দিয়েই কিনেছেন জমি, দোতলা বাড়ি আছে, রয়েছে দামি মোটরসাইকেল, ২০ হাজার টাকা দামের স্মার্টফোনও ব্যবহার করেন তিন। সম্প্রতি পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তার এই সম্পদের পরিমাণ প্রকাশ্যে এসেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের এক খবরে বলা হয়, গত দেড় মাসে সেই ভিক্ষুক আড়াই লাখ রুপি আয় করেছেন, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩ লাখ ৩২ হাজার টাকারও বেশি। নিজে এবং তিন সন্তানকে ‘জোর করে’ ভিক্ষা করানোর অভিযোগে সম্প্রতি তাকে আটক করে পুলিশ। এর পরেই সেই নারীর সম্পত্তির পরিমাণ প্রকাশ্যে আসে।

গত ৪৫ দিন ধরে ইন্দোর-উজ্জয়িনী রোডের লব-কুশ স্কয়ারে ভিক্ষা করছিলেন ইন্দিরা এবং তার আট বছরের মেয়ে। তিনি জানিয়েছেন এই দেড় মাসে ২ লাখ ৫০ হাজার রুপি আয় করেছেন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সেই টাকার হিসাবও দিয়েছেন। এর মধ্যে এক লাখ টাকা পাঠিয়েছেন রাজস্থানের বাড়িতে। সেখানেই তার আরও দুই সন্তান মানুষ হচ্ছে তাদের দাদা-দাদীর কাছে। বাকি দেড় লাখ রুপির মধ্যে ৫০ হাজার রুপি ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করেছেন। ৫০ হাজার রুপি খরচ করেছেন ব্যক্তিগত কারণে।

পুলিশ জানায়, আটকের সময় ইন্দিরার কাছে ছিল ১৯ হাজার ২০০ রুপি। এটা তার ৭ দিনের উপার্জন। তার দাবি, আট বছরের মেয়ে গত বুধবার সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ৬০০ রুপি উপার্জন করেছে। জানা যায়, পুরো পরিবার মিলে ভিক্ষার ব্যবসা করছেন। পরিবারে ওই নারী, তার স্বামী এবং তিন সন্তান রয়েছে। এর ফলেই মাসে আয় ছিল ২০ লাখ টাকা। অনেক ক্ষেত্রে কর্পোরেট চাকরির বেতনের থেকেও বেশি। এছাড়াও ইন্দিরা ও তার পরিবারের রয়েছে জমি, বাড়ি, গাড়ি, স্মার্টফোন-সহ অন্যান্য অত্যাধুনিক জিনিসপত্র।

মধ্যপ্রদেশ সরকার শহরগুলোকে ভিক্ষুক মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই কাজ করতে গিয়েই এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা যায়। ইন্দোরে সাত হাজারের বেশি মানুষের পেশা ভিক্ষাবৃত্তি। এবং তারা শহরের ৯৮.৭ শতাংশ মানুষের থেকে বেশি উপার্জন করেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন