কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের স্থায়ী বাসিন্দা অ্যালেক্স গোল্ড সম্প্রতি এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন। হঠাৎ করে তার বাড়ির গ্যারেজে ঢুকে পড়ে একটি রাগী ভালুক। ভালুকটি তাকে বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়।
যখন অ্যালেক্স নিজের গাড়ির সামনে বাজারের কিছু জিনিস রেখে ঘরের দিকে ফিরছিলেন সে সময় ঘটনাটি ঘটে। তিনি বুঝতে পারেননি তার অনুপস্থিতির সুযোগে গ্যারেজের খোলা দরজা দিয়ে একটি বড় কালো ভালুক ঢুকে পড়েছে। কোনও কিছু না জেনে তিনি স্বাভাবিকভাবে গাড়ির দিকে ফিরছিলেন, তখনই ঘটে অপ্রত্যাশিত সেই ঘটনা।
গ্যারেজের ভেতরে ঢুকে ভালুকটি শান্ত ছিল, তবে অ্যালেক্সের আসার শব্দে হঠাৎই গ্যারেজ থেকে বেরিয়ে তার সামনে এসে দাঁড়ায়। নিরাপত্তা ক্যামেরায় ধরা পড়া সেই রোমহর্ষক দৃশ্যে দেখা যায়, ভালুকটি গ্যারেজ থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অ্যালেক্স দ্রুত নিজেকে সামলে নেন এবং আতঙ্কিত হলেও পিছিয়ে যান।
ভালুকটি তখন তার আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে অ্যালেক্সের দিকে এগিয়ে আসে। অ্যালেক্স তার প্রতিরক্ষার জন্য দ্রুত হাততালি দিতে শুরু করেন এবং জোরে জোরে শব্দ করতে থাকেন। ধীরে ধীরে পিছিয়ে আসতে থাকেন তিনি, ভালুকটি যেন আরও কাছে না আসে সেই চেষ্টা করেন।
এই ভালুকের সঙ্গে ছিল তার একটি শাবকও, যা মূলত ভালুকটির এমন আচরণের কারণ ছিল। যদিও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তবুও অ্যালেক্স তার মনের জোর ধরে রাখেন এবং মাথা ঠান্ডা রেখে নিজের গাড়ির দিকে সরে যান। এক পর্যায়ে গাড়িতে প্রবেশ করে দ্রুত হর্ন বাজাতে থাকেন। হর্নের উচ্চ শব্দে ভালুকটি ভয় পেয়ে শাবককে নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে অ্যালেক্স কানাডার সিটিভি নিউজকে জানান, ভালুকটি তার খুব কাছাকাছি চলে এসেছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছিলেন। তিনি জানান, গাড়ির ভেতর ঢুকে হর্ন বাজানোই তাকে বিপদ থেকে বাঁচায়।
অ্যালেক্সের এই সাহসী ও বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন অলাভজনক সংস্থা ওয়াইল্ডসেফবিসির প্রোগ্রাম ম্যানেজার লিসা লোপেজ। তিনি বলেন, এই ধরনের পরিস্থিতিতে ভয় পেয়ে দৌড়ানো খুবই বিপজ্জনক হতে পারে, তাই সাহস ও কৌশলের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা উচিত, যেমনটি অ্যালেক্স করেছেন।