বাড়ির আদরের বিড়ালকে মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে ‘খুন’ করা হয়েছে। আর তা নিয়ে তোলপাড় ভারতের উত্তর কলকাতার হরলাল দাস লেনে। মৃত বিড়ালটিকে এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে রীতিমতো ময়নাতদন্ত করানো হয়।
ঘটনার কয়েকদিন পর পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই অঞ্চলেরই এক নারী। উত্তর কলকাতায় জোড়াবাগান থানায় চার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে বিড়াল খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, হরলাল দাস লেনের বাসিন্দা ওই নারীর অভিযোগ, কয়েকদিন আগে সকালে উঠেই ওই নারীর মামা তাকে জানান যে, তার আদরের বিড়ালের দেহ পড়ে রয়েছে বাড়ির সামনেই। বিড়ালটির মাথায় রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। তাতেই নারীর সন্দেহ হয়।
তিনি বিড়ালের দেহটিকে পাতিপুকুরে তার পরিচিত এক পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। ওই চিকিৎসক বিড়ালের দেহের ময়নাতদন্ত করেন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে রিপোর্টে ওই পশু চিকিৎসক লিখেছেন, বিড়ালটির মস্তিষ্কে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সেটাই মৃত্যুর কারণ। বাইরে থেকে কোনো কিছু দিয়ে আঘাত করার কারণে তা হওয়া সম্ভব।
বিড়ালটির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জোড়াবাগানের ওই অঞ্চলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ওই নারীর অভিযোগ, তিনি রাত এগারোটা সাড়ে এগারোটা নাগাদ বিড়ালটিকে খেতে দিয়ে ছিলেন। পরের দিন সকালে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। কেউ তার পোষ্যটিকে আঘাত করতে দেখেননি। তবু তার অভিযোগ প্রতিবেশী পরিবারের বিরুদ্ধে।
ওই পরিবারের চারজন তাদের পোষ্যকে আঘাত করে খুন করেছেন, এমনই অভিযোগ করেন তিনি। যদিও তিনি পুলিশকে এ-ও জানিয়েছেন, ওই চারজনের কেউই এখন বাড়িতে নেই। পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলার জন্য বাড়িতে গেলে জানানো হয় যে, চিকিৎসার জন্য তারা ভেলোরে গেছেন।
সম্প্রতি এই বিড়াল খুনের অভিযোগ জানিয়ে তার সঙ্গে চিকিৎসকের নথিও পুলিশের কাছে জমা দিয়েছেন ওই নারী। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের জেরা করা হবে। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন