বিড়াল পোষার শখ অনেকেরই রয়েছে। যদি প্রশ্ন করা হয় ঘরে আপনার বিড়াল কি কাজে লাগে? অনেকেই হেসে বলবেন- ইঁদুর তাড়াতে কাজে লাগে৷ বিড়াল ইঁদুর তাড়ায় এটা পুরনো কথা। তবে বিজ্ঞানী বিড়াল বা বিড়াল গবেষণা করছে এমন কথা আপনার না-শোনারই কথা!
ঘটনাটি ১৯৭৫ সালের৷ পদার্থ ও জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জ্যাক এইচ হেথারিংটন অধ্যাপনার কাজে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। এর পাশাপাশি গবেষণা করছিলেন তাপমাত্রায় পরমাণুর কোনো এক জটিল বিষয় নিয়ে। রীতিমতো গবেষণা শেষ করে ফল কর্তৃপক্ষকে জমা দেন হেথারিংটন। তার গবেষণার ফল পর্যবেক্ষণ করেন অন্যান্য বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। কিন্তু এই গবেষণা মন জয় করতে পারেনি ফিজিক্যাল রিভিউ জার্নালের বিজ্ঞানীদের।
সমস্যাটা দাঁড়ায়, গবেষণাপত্রে ‘আমি’র বদলে হেথারিংটন লিখেছেন ‘আমরা’। অথচ নাম উল্লেখ রয়েছে শুধু হেথারিংটনের। তাহলে অন্যজন কে?
গবেষণা প্রবন্ধে সর্বনামের ভুল তো আর মানতে পারেন না কেউ। হেথারিংটনকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হলো, এই গবেষণা নতুন করে লিখতে হবে। অথবা আমরা না লিখে একজন গবেষকের নাম দিতে হবে। তা না হলে অন্যজন কে তার নামও উল্লেখ করতে হবে।
রাত-দিন পরিশ্রম করে নিজের গবেষণা অন্যের নামে কে প্রকাশ করতে চায়? হেথারিংটনও চাননি। কিন্তু নতুন করে লেখাও কষ্টসাধ্য কাজ। বর্তমান সময়ের মতো তখন তো আর স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপ ছিলো না। তখন ধীরে ধীরে লিখতে হতো টাইপরাইটারে। এ নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়ে গেলেন হেথারিংটন। ভাবতে লাগলেন কি করবেন। অনেক ভাবনার পর হেথারিংটন স্থির করলেন গবেষণা পত্রে তিনি দ্বিতীয় গবেষকের নাম সংযুক্ত করবেন। তাই সহকারী হিসেবে নাম জুড়ে দিলেন চেস্টারের। ভাবছেন এই বিজ্ঞানী আবার কে? এই চেস্টার হলো তারই পোষা সিয়ামিজ বিড়াল।