বাংলাদেশে বজ্রপাতে মৃত্যু ক্রমেই বাড়ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেটা আশঙ্কাজনকভাবেই বেড়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সোমবার বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। বজ্রপাত থেকে বাঁচতে রয়েছে একাধিক উপায়। একটু সতর্ক হলেই নিজের সঙ্গে অন্যদের বজ্রপাত থেকে প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব। সেই বজ্রপাতের বিষয়টি উদ্বেগ তৈরি করেছে নেটমাধ্যমে। কেনো বিচলিত নেটিজেনরা? উৎকণ্ঠা বাড়িয়েছে একটি ভাইরাল প্রশ্নপত্র। এই প্রশ্নপত্রটি নেটিজেনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
প্রশ্নটি ছিলো ‘সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত কোথায় হয়? প্রশ্নের সঙ্গে থাকা চারটি বিকল্প (এমটিকিউ) উত্তর মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। জন্ম দিয়েছে হাস্যরাসে। প্রশ্নপত্রের নিয়ম অনুযায়ী বিকল্প উত্তরগুলোর মধ্যে পরীক্ষার্থীদের বেছে নিতে হবে সঠিক উত্তরটি। যার প্রথমটি হলো ‘ভারতীয় ধারাবাহিকে’ তারপর যথাক্রমে ‘গুলিস্তানে’, ‘রাজশাহীতে’ এবং ‘উপরের কোনওটিই নয়’।
সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত কোথায় হয়?
পরীক্ষার এই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে পারলেন না নেটিজেনরা। যারা বেছে নিয়েছেন ‘ভারতীয় ধারাবাহিকে’ উত্তরটি। নেটমাধ্যমের সমীক্ষায় শীর্ষ স্থান পেল প্রথম উত্তরটি।
‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ ধারাবাহিকের পরিচালক রুপক দে ভারতীয় একটি গণমাধমকে জানান, ‘ভারতীয় ধারাবাহিকে যে বজ্রপাত হয়, সেটা আমরা সকলেই দেখি। এমন নয় যে আমরা দেখি না। কিন্তু ভেবে দেখতে হবে, ভারতীয় টেলিভিশনে যদি নেটফ্লিক্সের মতো কাজ দেখানো হয়, তবে ভারতীয় সমাজ ও সংস্কৃতি সেই কাজের স্বীকৃতি দেবে না।’
পরিচালকের মতে, গল্পের নাটকীয়তা বাড়লেই বজ্রপাতের মতো আবহ শোনা যায়। রূপকের কথা থেকে জানা যায়, এছাড়া পাঠকের মনোযোগ বৃদ্ধি করতে এমন শব্দের প্রয়োগ হয়। তিনি মনে করেন, বাংলার থেকে হিন্দি ধারাবাহিকে বজ্রপাতের আবহ বেশি ব্যবহৃত হয়।