আমেরিকার এক নারীর জিহ্বায় সাদা রঙের ছোপ দেখা গিয়েছিল বছর খানেক আগে। সম্প্রতি চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার জিভের ক্যানসার চতুর্থ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। চিকিৎসার অঙ্গ হিসেবে জিহ্বার একাংশ প্রতিস্থাপিত করা হয় উরুর পেশি দিয়ে। সেই প্রতিস্থাপনের পর তার জিহ্বায় যে পরিবর্তন এসেছে, তা নিয়েই চলছে আলোচনা।
আমেরিকার কলোরাডোর বাসিন্দা ক্যামেরন নিউসম। এক সন্তানের জননী কয়েক বছর ধরেই জিহ্বার সমস্যায় ভুগছিলেন। কিন্তু দু’বার বায়োপ্সি করিয়েও ধরা পড়েনি ক্যান্সার। চিকিৎসকেরা ভেবেছিলেন, সাধারণ কোনও সংক্রমণ হয়েছে। সেজন্য তাকে দেওয়া হয়েছিল অ্যান্টিবায়োটিক। কিন্তু সম্প্রতি খেতে বা কথা বলতেও সমস্যা হচ্ছিল ক্যামেরনের। তার পর নাক-কান-গলার এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ক্যামেরনের জিহ্বায় ক্যান্সার শনাক্ত করেন। জানা যায়, সেই ক্যান্সার চতুর্থ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে।
এরপর ওই নারীর ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু হয়। কেমোথেরাপি সফলভাবে শেষ করার পর চিকিৎসকেরা তার জিহ্বার একাংশ থেকে টিউমার সরানোর সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো জটিল অস্ত্রোপচার করা হয়। তারই অঙ্গ হিসেবে, নারীর জিহ্বার একাংশ প্রতিস্থাপিত করা হয়েছিল উরুর পেশি দিয়ে। নতুন জিহ্বা ধীরে ধীরে শরীরের সঙ্গে মানিয়েও নিয়েছে। ওই নারী আবার কথা বলতে পারছেন। খাওয়া-দাওয়া করতেও অসুবিধা হচ্ছে না তার।
কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই নারীর জিহ্বায় এমন এক পরিবর্তন সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, যা নিয়ে নতুন চিন্তায় পড়েছেন তিনি। ক্যামেরন লক্ষ্য করেছেন, তার জিহ্বার যে অংশ উরুর পেশি দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল, সেই জায়গা খসখসে হয়ে গিয়েছে। আমেরিকার এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তার জিহ্বার ওই অংশে লোম গজাতে শুরু করেছে।