সারা বিশ্বে প্রায় ৮০০ কোটি মানুষের বাস। এদের একেকজনের পছন্দ যেমন আলাদা। তেমনি একেকজনের শখও আলাদা। অনেকেই আছেন অন্যদের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চান। এজন্য নানা রকম উদ্ভট কাজ করেন। ব্রাজিলের এক ব্যক্তি অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে শরীরের ৮৫ শতাংশ ঢেকে ফেলেছেন ট্যাটু দিয়ে।
এখানেই ক্ষান্ত হননি তিনি। করোনা সংক্রমণ শেষ হওয়ায় মাস্ক পরার বিধি নিষেধ উঠে যাওয়াতে নিজের কান কেটে ফেলেছেন এই ব্যক্তি! শরীরের অসংখ্য পরিবর্তন ঘটিয়ে এখন তার পরিচয় ‘মানব শয়তান’। এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন প্রাইয়া গ্র্যান্ডের মিশেল ফারো দো প্রাডো। চেহারা পরিবর্তন করার জন্য ৬০টিরও বেশি অপারেশন করিয়েছেন তিনি।
প্রাডো মাথায় শিং লাগিয়েছেন, নাভি ও নাকের একটি অংশও কেটে ফেলেছেন। এমনকি নিজের একটি আঙুলও কেটে ফেলেছিলেন তিনি। যেন তার হাত দেখতে এলিয়েনের মতো দেখায়। শরীরের সর্বশেষ পরিবর্তন হলো নিজের কান কেটে ফেলা। রসিকতা করে প্রাডো সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, এখন আর মাস্ক পরার দরকার নেই।
প্রাডোর কান কেটে ফেলার অপারেশনটি করেন মেক্সিকোর বডি মডিফায়ার গাট্টু মোরেনো। তিনি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে প্রাডোর এই অপারেশনের কথা বলেছিলেন। সে কথা অবশ্য তার ফলোয়াররা প্রথমে বিশ্বাসই করেননি। তার ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় ৯৫ হাজার।
৩৩ বছর বয়সী মিশেল ফারো প্রাডো তার জিহবা কেটে দুই ভাগ করে নিয়েছেন। শরীরে রয়েছে অসংখ্য ছিদ্র ও ট্যাটু। প্রায় এক দশক ধরে চলছে তার এই পরিবর্তনের কাজ। মিশেল প্রাডো তার নাক-কান অপসারণের জন্য গিয়ছিলেন ফ্রান্সে। কারণ তার দেশে এসবের বৈধতা নেই।
প্রাডো তার এই পরিবর্তন নিয়ে খুবই খুশি। এমনকি তার এমন আজব চেহারা ও অদ্ভুতুড়ে নেশা সত্ত্বেও তার পরিবার ও বন্ধুরা সবসময়ই তাকে সমর্থন জুগিয়ে এসেছে। শুধু প্রাডো নয়, তার স্ত্রী ক্যারলেরও শরীরে বেশিরভাগ অংশ ট্যাটুতে ঢাকা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি ডিমেন ওমেন নামে পরিচিত।
প্রাডোর নতুন চেহারার একটি ছবি রেডিটে ভাইরাল হয়। এরপরই ভাইরাল হয়ে যায় ছবিটি। রীতিমতো ভয়ে বিস্ময়ে হাঁ হয়ে থেকেছেন অনেকেই। প্রাডো মূলত অন্যদের থেকে সব সময় আলাদা থাকতে চাইতেন। আর নিজের চেহারা খুব একটা পছন্দও ছিল না তার। তাই এই উপায় বেছে নিয়েছেন তিনি।