একজন রাশিয়ান নারী । তিনি বর্তমানে ২২ সন্তানের মা। তবে এতো তাড়াতাড়ি তিনি থেমে যেতে চান না। আরো ৮০ টির বেশি সন্তান চান।
ক্রিস্টিনা ওজতুর্ক এবং তার কোটিপতি স্বামী গালিপ ২২ সন্তানের পিতামাতা। ক্রিস্টিনা ওজতুর্ক প্রথম সন্তানকে স্বাগত জানিয়েছিলেন যখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর। ক্রিস্টিনা তার সন্তানদের মধ্যে ২১ জনকে স্যারোগেসির মাধ্যমে স্বাগত জানিয়েছিলেন। একজন নারীর গর্ভে অন্য দম্পতির সন্তান ধারণের পদ্ধতিকে ‘সারোগেসি’ বলে। ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন পদ্ধতিতে নারীদেহ হতে ডিম্বাণু ও পুরুষ দেহ হতে শুক্রাণু দেহের বাইরে টেস্টটিউবে নিষিক্ত করে তা সারোগেট নারীর গর্ভাশয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়।
খুব তাড়াতাড়ি বেশি সন্তান চাই! তাই তিনি এই পদক্ষেপ নেন। গত বছর ক্রিস্টিনা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি ১০৫ টির মতো সন্তান নিতে চান। একসাথে এতগুলো শিশু লালন পালন করতে কেমন লাগে সেই সম্পর্কেও তিনি বলেছেন।
তিনি বলেন, আমি সব সময় বাচ্চাদের সাথে থাকি। একজন সাধারন মা যা করেন আমিও তাই করি। আমি একটি বড় জাহাজ চালিই । আমার সন্তারা প্রতিদিন রাত ৮ টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘুমায়। সন্তানদের জীবনের প্রতিটি কথা আমি ডায়েরিতে লিখে রাখি।
ক্রিস্টানার স্বামী গালিপও সাক্ষাৎকারে অংশ নিয়েছিলেন। তার সঙ্গী সম্পর্কে তিনি বলেন ওর সঙ্গে থাকা খুব সহজ। সবসময় তার মুখে হাসি থাকে। একই সাথে সে লাজুক এবং রহস্যময়। এমন একজন স্ত্রী আমি নিজের জন্য চেয়েছিলাম।
এই দম্পতি প্রথমে প্রতি বছর একটি সন্তানের জন্ম দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ক্রিস্টিনা শীঘ্রই বুঝতে পেরেছিলেন যে তার শরীর এই চাপ নিতে পারবে না। তাই তারা সারোগেসির দিকে ঝুঁকেছেন। প্রতিটি শিশুর জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ১০০০০ ডলার!