যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ডের অ্যাবারডিনশায়ারে থাকতেন জোয়ানা বুচান। সেখানকার পিটারহেড সেন্ট্রাল স্কুলে পড়তেন তিনি। ১৯৯৬ সালে একটি চিঠি বোতলে ভরে নদীতে ফেলে দিয়েছিলেন জোয়ানা। তখন তাঁর বয়স ছিল আট বছর। সেই চিঠিসমেত বোতলের সন্ধান পাওয়া গেল ২৫ বছর পর।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, স্কটল্যান্ড থেকে ১ হাজার ২৮৭ কিলোমিটার দূরে নরওয়ের উত্তরাঞ্চলের গ্যাসভায়ের এলাকায় এ বোতলের সন্ধান মিলেছে। এখানেই শেষ নয়। এলেনা অ্যান্ডারসেন হাগা নামের যে নারী ওই বোতল খুঁজে পেয়েছেন, তিনি আবার জোয়ানাকে খুঁজে বের করেছেন।
জোয়ানা ওই চিঠিতে তাঁর স্কুল সম্পর্কে লিখেছিলেন। লিখেছিলেন তাঁর পোষা কুকুরের কথা। নিজের পছন্দের আরও কিছু জিনিসপত্রের কথা লিখেছিলেন তিনি। ওই সময় ছেলেদের অপছন্দ করতেন, এটাও চিঠিতে লিখেছিলেন তিনি।
এ চিঠি দিয়ে তাঁকে যাতে খুঁজে পাওয়া যায়, সে জন্য ঠিকানাও লিখে দিয়েছিলেন জোয়ানা। তবে ঠিকানা অনুসারে নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে জোয়ানাকে খুঁজে পেয়েছেন এলেনা। ২০২০ সালে গ্রীষ্মে ওই বোতল তিনি খুঁজে পান। তিনি দেখেন, বোতলের ভেতরে একটা চিঠি আছে।
এলেনা বিবিসিকে বলেন, ‘আমি দেখতে পাচ্ছিলাম, এর ভেতরে চিঠি রয়েছে। এই চিঠিতে পানিও লেগেছিল। তাই আমি খুব সাবধানে বোতলটি খুলেছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘চিঠিতে পানি লাগলেও আমরা সেটা পড়ে বুঝতে পেরেছিলাম যে চিঠিটি স্কটল্যান্ড থেকে এসেছে। সত্যি এটি একটি অসাধারণ ব্যাপার।’
যা হোক, এ বোতল পাওয়ার পরই, অর্থাৎ ২০২০ সালেই ফেসবুকে জোয়ানাকে খুঁজে বের করেন এলেনা। এরপর তাঁকে বার্তাও পাঠান এলেনা। কিন্তু এত দিন তিনি সেই বার্তা দেখেননি। পরে গত সোমবার পুরোনো বার্তা ঘাটতে গিয়ে এলেনার বার্তাটি খুঁজে পান জোয়ানা।
জোয়ানা এখন অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে থাকেন। চিঠির সন্ধান পেয়ে আনন্দিত তিনি। এ চিঠিকে দামি রত্ন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। ‘যখন চিঠিটি পড়ি, তখন আমি হেসে মরেই যাচ্ছিলাম!’ যোগ করেন ৩৪ বছর বয়সী এই চিকিৎসক।