ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্কে হারিয়ে যাওয়া একটি বিড়াল মাইক্রোচিপের সাহায্যে দুই মাস পর ১,০০০ মাইল পথ পেরিয়ে নিজের বাসায় ফিরে যেতে সক্ষম হয়েছে। একটি প্রাণী কল্যাণ সংস্থা এখবর জানিয়েছে। রেনবো হলো একটি আড়াই বছরের সিল পয়েন্ট মিটেড সিয়ামিজ। ক্যালিফোর্নিয়ার স্যালিনাস থেকে তার মালিক সুজান এবং বেনি অ্যাঙ্গুয়ানো, যখন ঘুরতে ঘুরতে ওয়াইমিংয়ের পার্কে গিয়েছিলেন তখন বিড়ালটি হারিয়ে যায় বলে সিএনএনকে জানিয়েছেন সুজান।
পার্কে মাছ ধরার কাজে যখন একটু অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছেন তখন খেয়াল করেননি তাদের পাশে নেই আদরের রেনবো (বিড়ালটিকে এই নামেই ডাকা হয়)। বিড়ালটি হারিয়ে যাওয়ার পর আদরের পোষ্যটিকে খুঁজে পাওয়ার আশা ছাড়েননি সুজান। পোষ্যের দুঃখ ভুলতে তারা একটি বিড়ালকে দত্তক নেন। সুজান সিএনএনকে জানিয়েছেন তারা মাত্র ১১ বয়সে রেনবো-কে বাড়ি নিয়ে আসেন। নিখোঁজ হওয়ার ৬১ দিন পর, অ্যাঙ্গুয়ানো দম্পতি রেনবোর শনাক্তকরণ নম্বর দেয়া একটি বিজ্ঞপ্তি পান। বিড়ালটিকে ক্যালিফোর্নিয়ার রোজভিলে পাওয়া গিয়েছিল, স্যালিনাসে তার বাড়ি থেকে প্রায় ১৯০ মাইল দূরে।
তারপরে তাকে রোজভিলের প্রাণীদের জন্য প্লেসার সোসাইটিতে নিয়ে যাওয়া হয়, সোসাইটির সিইও লেইলানি ফ্র্যাটিস একথা জানান। ফ্র্যাটিস বলেছেন -‘আমরা আশা করি প্রত্যেকে তাদের পোষা প্রাণীদের শরীরে মাইক্রোচিপ লাগানোর সুবিধাগুলি বুঝতে পারবেন। ‘কেএসবিডব্লিউ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদ্ধারের পর বিড়ালটির স্বাস্থ্য খুব একটা ভালো ছিল না। বিড়ালটি কোনোভাবে ওয়াইমিং থেকে রোজভিল এবং ক্যালিফোর্নিয়ার স্যালিনাস পর্যন্ত ১,০০০ মাইলেরও বেশি পথ পাড়ি দিয়েছিলো। সুজান এবং বেনি অ্যাঙ্গুয়ানো এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না এতো দূর চলে যাবার পরও তাঁরা আদরের রেনবোকে ফিরে পাবেন। সুজন সিএনএনকে বলেছেন, আমি সেই মুখটি আবার দেখার জন্য দিনের পর দিন প্রার্থনা করে গেছি। বিড়ালটিকে ফিরিয়ে দেবার জন্য আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ।