জার্মান রূপকথার কেশবতী কন্যা রুপাঞ্জেলের কথা কারো অজানা নয়। লম্বা সোনালি চুল ছিল তার। তবে বাস্তবে এরকমই লম্বা চুলের অধিকারিণী ছিলেন ভারতের নীলাংশি পটেল। ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে তার মাথার সবচেয়ে বেশি চুল ছিলো। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডেও নাম উঠেছে তার। তবে ১২ বছর পর এই চুল কেটে ফেললেন রুপাঞ্জেল খ্যাত নীলাংশি।
২০১৮ সালে ১৬ বছর বয়সে নীলাংশির চুল ছিলো ৫ ফিট ৭ ইঞ্চি। এর পর নীলাংশি ১৮-তে পা দেওয়ার আগেই তার চুল আরও দ্রুত বেড়ে গিয়ে ৬ ফিট ৬.৭ ইঞ্চি হয়ে যায়। তিনি তখন স্থির করেন যে একজন টিন এজার হিসেবে সব চেয়ে লম্বা চুলের রেকর্ড করবেন। নীলাংশির যখন ৬ বছর বয়স ছিল, তখন তার চুল কাটার অভিজ্ঞতা ছিল ভয়ানক। সেই থেকে নীলাংশি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তিনি আর চুল কাটবেন না। সেই ৬ বছর বয়স থেকে চুল বাড়িয়েই যাচ্ছিলেন তিনি। ১২ বছর ধরে নিজের প্রতিজ্ঞা রেখেছিলেন তিনি আর মনের ইচ্ছে পূর্ণ করে তিনি গিনেস বুকে নামও তুলেছেন।
গুজরাটের স্থানীয় মানুষ তাকে ডাকেন রুপাঞ্জেল বলে। আর এই নামটা বেশ পছন্দই করেন নীলাংশি। তিনি বলেছেন যে এই চুল ছিল তার লাকি চার্ম, তার কাছে এই চুল অত্যন্ত শুভ। তাই ১২ বছর পর যখন এই চুল কেটে ফেলার সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি।
এদিকে চুল কাটার পর মা কামিনীবেনের সঙ্গে আলোচনা করে নীলাংশি ঠিক করেছেন যে এই চুল তিনি একটি মিউজিয়ামে দান করবেন যাতে সেটা দেখে বাকিরা অনুপ্রাণিত হয়। কামিনীবেনও নিজের চুল দেবেন বলে ভেবেছেন। নীলাংশি খুব চিন্তায় ছিলেন যে চুল কেটে ফেললে তাকে কেমন দেখতে লাগবে। অবশ্য মেঘবরণ চুলের অধিকারিণীর দাবি- মানুষের আসল সৌন্দর্য থাকে তার অন্তরে, তাই চুল থাকল বা থাকল না কিছু এসে যায় না।