১৮৮৭ সালে ভ্যাঙ্কুভারের সমুদ্রসৈকতে হেঁটে বেড়ানোর সময় ঝোপের মধ্যে মানুষের কাটা পা দেখতে পান এক মহিলা। সেই থেকেই ওই জায়গার নাম হয়ে যায় লেগ ইন বুট স্কোয়ার। সেই ঘটনায় তাৎক্ষণিক চাঞ্চল্য তৈরি হলেও সেভাবে মানুষের মনে সাড়া ফেলেনি।
১৯১৪ সালে ফের একই ঘটনা ঘটে। সমুদ্রসৈকত থেকে ফের বুটের ভিতর মানুষের পা উদ্ধার হয়। এই ভাবে একের পর এক জুতো-সহ মানুষের পা উদ্ধার হয় ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সমুদ্রসৈকত থেকে।
শুধু ২০০৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ২১টি এরকম পা উদ্ধার হয়েছে। শেষ বার উদ্ধার হয়েছিল ওয়াশিংটনের জেটি আইল্যান্ড থেকে। এই উদ্ধার হওয়া দেহাংশগুলি কাদের,কিছু ক্ষেত্রে তার খোঁজ মিললেও বেশির ভাগেরই কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
২০১৮ সালে পশ্চিম ভ্যাঙ্কুভারের সমুদ্রসৈকতে নাইকির জুতোর মধ্যে ভেসে এসেছিল পা। নীল রঙের মোজাও পরা ছিল। কোন ব্যক্তির পা এটি ছিল তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
২০০৭ সালে আবার ওয়াশিংটন থেকে ওই সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে আসা এক কিশোরী। একটি অ্যাডিডাসের জুতো হাতে নিয়েই আঁতকে ওঠেন তিনি। ভিতরে তখনও রয়ে গিয়েছে মানুষের কাটা পা।
তেমনই আবার জানা যায়, ২০০৮ সালে নাইকির জুতোর মধ্যে উদ্ধার হওয়া পা ২১ বছরের এক কিশোরের ছিল। যিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। তবে বেশির ভাগেরই খোঁজ মেলেনি।
ওই সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটকেরা ঝিনুক কিংবা নানা রকম সামুদ্রিক প্রাণীর খোঁজ না করে খোঁজ করতেন ভেসে আসা জুতার।
পরবর্তীকালে বহু তদন্তের পর তদন্তকারীরা জানান, বিভিন্ন সময়ে সমুদ্রে ঘটা দুর্ঘটনা কিংবা আত্মহত্যার কারণে মৃতদেহগুলি সমুদ্রেই পড়ে থাকে। সমুদ্রের নোনা জলে সেগুলিতে পচন ধরে যায়। কিন্তু পায়ের যে অংশ বুটের ভিতর ঢাকা থাকে সেগুলিতে নোনা জল সহজে ঢুকতে পারে না।
জল ঢুকতে পারে না বলে বুটের ভিতরে সেই অংশটুকুতে সহজে পচন ধরে না। তার উপর বুট জলে ভেসে থাকায় ভিতরে জল ঢোকার সম্ভাবনা কমে যায়। সে কারণেই হয়তো শুধুমাত্র বুটের মধ্যে সযত্নে রয়ে যাওয়া পায়ের অংশ ভেসে চলে আসে সমুদ্রসৈকতে।