নাম তার কাইলা সিম্পসন। আমেরিকার নিউ জার্সির বাসিন্দা। তিনি ভেবেছিলেন অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথায় ভুগছিলেন। তাই চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন হাসপাতালে। সেখানে গিয়েই জানতে পারলেন অ্যাপেন্ডিক্সের সমস্যা নয়, তিনি অন্তঃসত্ত্বা! তা-ও অল্প দিনের নয়, এসে গিয়েছে প্রসবের সময়। এমনই অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন কাইলা সিম্পসন।
ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ২১ বছর বয়সি কাইলা সামাজিকযোগাগের মাধ্যমে জানিয়েছেন, একদিন পার্টি করার সময় আচমকাই পেটে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। ব্যাথা এতই তীব্র ছিল যে, আত্মীয়-স্বজনরা ভাবেন, তার অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে গিয়েছে। তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে পরীক্ষা করতেই দেখা যায়, তিনি অন্তঃসত্ত্বা! যে ব্যথাকে অসুস্থতা ভাবছিলেন, তা আসলে প্রসববেদনা। আকাশ থেকে পড়েন তরুণী। কারণ, পেটে কোনও রকম স্ফীতি ছিল না তার। এমনকি, ঋতুস্রাবও বন্ধ হয়নি। চিকিৎসকরা আর দেরি করেননি। তখনই প্রসবের ব্যবস্থা করেন। ঘটনার আকস্মিকতায় মেয়ের মা হওয়ার মুহূর্তে কাছে থাকতে পারেননি তার বাবাও। ১৫ মিনিটের মধ্যে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি।
টিকটকে গোটা বিষয়টি জানিয়ে একাধিক ভিডিও করেছেন তরুণী। বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করে দেখিয়েছেন, স্ফীত তো নয়ই বরং অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন আরও তন্বী দেখিয়েছে তাকে। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ঝড় তুলেছে তার ভিডিওগুলো। এক কোটি ৭০ লাখের বেশি মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিও। তবে তরুণী যা-ই দাবি করুন, চিকিৎসাবিজ্ঞান পরিষ্কারভাবে জানাচ্ছে, অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পরও ঋতুস্রাব স্বাভাবিক থাকা কার্যত অসম্ভব।