বয়স কেবল সংখ্যামাত্র। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই এই কথাটি ব্যবহৃত হয়। আরও একবার তার প্রমাণ পাওয়া গেল। ভারতের উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে আয়োজিত গণবিবাহে মা–মেয়ে একসঙ্গেই বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে। শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনা সত্যি।
সাধারণত ভারতের বহু রাজ্যেই গণবিবাহের আসর বসে। কখনও সরকারি সহায়তায়, কখনও আবার ব্যক্তিগত উদ্যোগে। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে সম্প্রতি সেরকমই গণবিবাহের আসর বসেছিল। সেখানেই ঘটে এই অদ্ভুত ঘটনা। যেখানে মা–মেয়ে একসঙ্গেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন।
জানা গেছে, ওই নারীর নাম বেলি দেবী। ৫৩ বছর বয়সি ওই নারীর স্বামী হরিহর ২৫ বছর আগেই মারা গিয়েছিলেন। তারপর থেকে একাই পাঁচ সন্তানকে বড় করেন। এর মধ্যে দুই ছেলে এবং দুই মেয়ের বিয়েও দেন। বাকি ছিল ছোট মেয়ে। সম্প্রতি গণবিবাহের আসরেই ছোট মেয়ে ইন্দুর বিয়ে দেবেন বলে ঠিক করেন। কিন্তু ২৭ বছর বয়সি মেয়ের বিয়ের আসরে তিনি নিজেও বিয়ে করলেন। বর মৃত স্বামীর ভাই এবং সম্পর্কে ওই নারীর দেবর। তার নাম জগদীশ। পেশায় কৃষক ৫৫ বছরের ওই ব্যক্তি। তিনিও এতদিন অবিবাহিতই ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে মোট ৬৩টি যুগল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে এক মুসলিম যুগলও ছিল।
এই বিয়ে প্রসঙ্গে বেলি দেবী বলেন, ‘“আমার দুই ছেলে এবং দুই মেয়ের বিয়ে ইতোমধ্যে হয়ে গিয়েছে। তাই ছোট মেয়ের বিয়েতেই দেবরকে বিয়ে করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিই। এতে আমার সন্তানরা প্রত্যেকেই খুশি।”
এদিকে, ২৯ বছর বয়সি রাহুল নামের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে ইন্দুর। তবে মায়ের বিয়েতেই যেন সবচেয়ে বেশি আনন্দিত তিনি। বলেন, “‘আমার মা এবং কাকা দু’জনে মিলে আমাদের বিয়ে দিয়েছে। এতদিন তারা আমাদের খেয়াল রাখত, এবার নিজেদের খেয়াল রাখতে পারবে।”
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর অনেকেই অবাক হয়েছেন। তবে কেউ কেউ ওই নারীর এই কাজকে সমর্থনও জানিয়েছেন।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন