গাই টার্ফ নামের এক ব্যক্তি একাধিক মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্পার্ম (শুক্রাণু) দান করতেন। যার ফলে এখন তিনি শত শত সন্তানের পিতা, এমনটাই হাসপাতালের বরাত দিয়ে জানাচ্ছে বেলজিয়ামের একটি গণমাধ্যম।
বেলজিয়ামে ২০০৭ সালে শুক্রাণু দানের বিষয়টি আইনি স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকে ওই ব্যক্তি ঘেন্ট ও ব্রাসেলসের নানা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে হাসপাতালে শুক্রাণু দান করেছেন।
গাই টার্ফ এখন বেলজিয়ামের বাইরে থাকেন। যখন বেলজিয়ামে ছিলেন তখন তার পেশাই ছিল স্পার্ম ডোনেট করা। যার ফলে অনেকেই এখন জানতে পারছে তাঁদের পিতা গাই টার্ফ। দুই বছর ধরে তিনি সপ্তাহে দুবার শুক্রাণু দান করেন, যা থেকে আয় হতো ৫০ ইউরো।
বেলজিয়াম থেকে ফ্লেমিশ ব্রাবান্টে চলে যাওয়ার পরও গাই ব্রাসেলস বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে শুক্রাণু দান করেন। বেসরকারি ডিএনএ ডাটাব্যাঙ্ক ব্যবহার করে অনেকেই এখন জানতে পারছে যে, তিনি তাদের পিতা। গাই এসময় উপলব্ধি করেন তার এমন সন্তানের সংখ্যা শত শত।
ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ডা. ফ্রুক ভ্যানডেন মিরশট বিস্মিত হয়ে বলেন, ‘২০০৭ থেকে আইনি নিয়ম একজন দাতা ৬ বারের বেশি আলাদা আলাদা পরিবারকে দান স্পার্ম দিতে পারবেন না। এর জন্য রক্ত পরীক্ষা, মনস্তাত্ত্বিক এবং জেনেটিক স্ক্রিনিং করেতে হয় যার জন্য খরচ পড়ে ৫০ থেকে ৮০ ইউরোর মধ্যে।
শুক্রাণু প্রদানকারীদের নাম প্রকাশ করা হয় না। যদিও শিশুরা তাদের ‘স্বাভাবিক’ পিতাকে শনাক্তের আশায় ব্যক্তিগত ডাটাবেজ ব্যবহার করতে পারে।
ডা. মিরশট আরও বলেন, দাতার নাম নিবন্ধিত, তবে কেউ যদি শুক্রাণু গ্রহণ করেন, তবে একটি নম্বর ব্যবহার করা হয়। হাসপাতালগুলো দাতার পরিচয় সম্পর্কে কোনো বিশদ তথ্য প্রকাশ করে না। তবে ব্যক্তিগত ডিএনএ ডাটাবেজ আছে। আপনি একটি ডিএনএ নমুনা প্রদান করতে পারেন এবং আপনার পূর্বপুরুষদের শনাক্ত করার আশা করতে পারেন। তিনি বিশ্বাস করেন, আজকের আইনি কাঠামো বর্তমান সামাজিক নৈতিকতার সাথে আপ-টু-ডেট নয়।
মিরশট বলেন, দাতার নাম নিবন্ধিত থাকে, যার বিপরীতে একটি নম্বর থাকে। হাসপাতাল ওই নম্বরের ভিত্তিতে তাদের কার্যক্রম প্রচলিত রাখে, বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করে না। যে কেউ চাইলে তাদের ডিএনএর নম্বর প্রদান করে পিতা কে শনাক্ত করতে পারবে।
তিনি বলেন, এখন সবই প্রকাশ। সময়টা এখন আর গোপনীয়তার নয়।