শরীরজুড়ে ৮৬৪ পোকার ট্যাটু করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা মাইকেল অ্যামোইয়া। এমনকি এজন্য সম্প্রতি তিনি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও নাম লিখিয়েছেন। ২০২১ সালের ২৮ অক্টোবর তার রেকর্ডটি নিশ্চিত করেছে গিনেস কর্তৃপক্ষ।
২১ বছর বয়সে বাহুতে একটি লাল রানি পিঁপড়ার ট্যাটু করেছিলেন মাইকেল। এরপর সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬৪ তে। তার শিল্পকর্মের মধ্যে রয়েছে বিটল, পিঁপড়া, ইয়ারউইগ ও মথ।
গলা ও বুকজুড়ে একটি ১৩ ইঞ্চি মথের ট্যাটু। বাম বাহুতে ৮৯টি পিঁপড়া ও বাহু থেকে তার বাইসেপ পর্যন্ত আরও ৩৬টি। ২৩টি লাল পিঁপড়া তার পেটের ডান পাশে। ডান চোখের উপরে একটি ২.৫ ইঞ্চি বিটল। ডান কানের পিছনে একটি ২.৫ ইঞ্চি ইয়ারউইগ।
তবে এমন নয় যে, মাইকেল পোকামাকড় খুব পছন্দ করেন। আদতে মাইকেল পোকামাকড় ভীষণ ভয় পান। এজন্যই শরীরে পোকার ট্যাটু করেছেন। যেন সব সময় এগুলো দেখতে পান। ফলে পোকা ভীতিও দূর হবে তার।
তবে মাইকেলের শরীরে মাকড়সা এবং দুটি বিশাল মিলিপিডের ট্যাটু রয়েছে। যেগুলো রেকর্ডের জন্য গণনায় ধরা হয়নি। কারণ মাকড়সা এবং মিলিপিড পোকা নয়। মাকড়সা হলো আরাকনিড এবং মিলিপিড মাইরিয়াপড।
মাইকেলের আগে আরও তিনজন এই রেকর্ড অর্জন করেছিলেন। ২০২১ সালের ৭ আগস্ট যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা ব্যাক্সটার মিলসম। তার শরীরে ছিল ৪০২টি কীটপতঙ্গের ট্যাটু। ব্যাক্সটারের শরীরে অ্যালিগেটর বাগ থেকে শুরু করে জেব্রা সোয়ালোটেল প্রজাপতির ট্যাটু।
২০১৮ সালের ৩০ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা জোশুয়া থর্নটন করেছিলেন এই রেকর্ড। ২৮১টি কীটপতঙ্গ দিয়ে আগের রেকর্ড ভেঙেছিলেন তিনি। একদিনেই তিনি তার শরীরের ট্যাটু করেছিলেন। এজন্য পাঁচজন শিল্পী একসঙ্গে কাজ করেছিলেন টানা ২৪ ঘণ্টা।
প্রথম এই রেকর্ডটি করেছিলেন রিক জেনেস্ট নামের কানাডার এক ব্যক্তি। ২০১১ সালের ২৭ এপ্রিল রিকো ১৭৬টি কীটপতঙ্গের ট্যাটু দিয়ে রেকর্ড করেন।
সবার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ট্যাটু করে এবার রেকর্ড গড়েন মাইকেল। মাইকেল গিনেস বুক থেকে আয় করা অর্থ ব্যয় করতে চান শিশুদের জন্য।