বিয়াঙ্কা জেমি ওয়ারিয়াভার বয়স ১২। সম্প্রতি আইফোন ১৪ কিনেছে সে। গল্পটা এই পর্যন্ত সাদামাটা। আইফোনটি তার বাড়িতেই সরবরাহ করা হয়েছে। তবে এটা কেউ তাকে উপহার দেয়নি। এই আইফোনটি সে কিনেছে ছয় সপ্তাহের কঠোর পরিশ্রমে আয় করা অর্থ দিয়ে।
জেমি সপ্তম গ্রেডে দুবাইর একটি স্কুলে পড়ে। চেয়েছিল একটি নতুন ফোন। তবে সেই ফোন কিনে দেওয়ার মতো অবস্থায় ছিল না তার বাবা-মা। আর্থিকভাবে তারা কিছুটা অস্বচ্ছল দিন কাটাচ্ছিলেন। এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ফোন কিনতে একটা চমকপ্রদ আইডিয়া নিয়ে হাজির হন জেমির এক বন্ধু।
স্কুলে নাশতার জন্য তার ফিলিপিনো মা ঘরে তৈরি রুটি দিতো। জেমি সেই রুটি বন্ধুদের মধ্যে ভাগাভাগি করে খেত। তারা রুটিটি খুব পছন্দ করত। আইফোন কেনার শখের কথা শুনে এক বন্ধু তাকে রুটি বিক্রির বুদ্ধি দেয়। ঘটনাটি গত ফেব্রুয়ারির। এরপর সে হাতে তৈরি রুটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়।
আইফোন ১৪ কিনতে জেমির প্রায় তিন হাজার দিরহামের।
জেমি জানায়, তার মা-বাবা একসময় পাঁচ তারকা হোটেলে কাজ করতেন। তারা বেকারি পণ্য তৈরিতে দক্ষ। তার রুটি বিক্রির চিন্তাটি তারা সমর্থন করেন। এ জন্য কাঁচামাল কিনতে জেমির বাবা তাকে ১০০ দিরহাম দেন। আর তার ফিলিপিনো মা জেমিনি ওয়ারিয়াভা শেখান মজাদার খাবার বানানোর কৌশল।
জেমি বিদ্যালয়ে প্রথম দিন ১০ দিরহাম করে চারটি রুটি বিক্রি করতে পেরেছিল। কিন্তু পরদিন থেকে দিনে গড়ে তার এই বিক্রি পৌঁছায় ৬০টিতে। এতে চলতি মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে তার প্রায় তিন হাজার দিরহাম জোগাড় হয়ে যায়। যা দিয়ে ইতোমধ্যে সে তার শখের আইফোন ১৪ কিনে ফেলেছে। এখন তার পরবর্তী লক্ষ্য নিজের নামে একটি বেকারি ও কফির দোকান চালু করা।
জেমির এমন কর্মকাণ্ডে গর্বিত মা জেমিনি। তিনি বলেন, বিয়াঙ্কার গল্প তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে পারে।