ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির বাড়িতে শেষ রাতে ঢুকে পড়ে প্রায় ছয় জন লোক। ঘরে ঢুকেই হিন্দিতে তারা জানায়, খিদে পেয়েছে, খাবার চাই।
ততক্ষণে ঘুম ভেঙে হতভম্ব হয়ে পড়েছে বাড়ির লোকজন।
তাদের ভরসায় না থেকে চোরের দল নিজেরাই ফ্রিজ খুঁজে বের করে। এরপর রসগোল্লা সাবাড় করে দেয় তারা। এমনকি কোমল পানীয়ের বোতলও সাবাড় করে দেয়।
পরে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লুট করে নিয়ে যায় টাকা, গয়না। গত শনিবার রাতে পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালে ওই বাড়িতে ডাকাতি সেরে দুষ্কৃতিরা পালায় বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতা সুকুমার ভট্টাচার্যের।
সুকুমার জানান, গত শনিবার তাঁদের আদি বাড়ি জামুড়িয়ার কেন্দা গ্রামে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিলেন স্ত্রী শ্রাবণী ও ছেলে অনীক।
একাদশ শ্রেণির ছাত্র অনীকের অভিযোগ, রাত পৌনে ৩টা নাগাদ মাফলারে মুখ ঢাকা ছয়জন বাড়িতে ঢোকে। চার জনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল।
তিনি আরো বলেন, ঘরে ঢুকেই তারা বাবা কোথায় আছে জানতে চায়। তার পরেই এক জন খাবার চায়। ইতোমধ্যেই ফ্রিজের নজর পড়তেই ওই দলটির একজন সটান তা খুলে রসগোল্লার পাত্র বের করে আনে। মাফলার সামান্য সরিয়ে তারা কেউ একটি, কেউ আবার দু’টি রসগোল্লা মুখে পুরতে থাকে। এর পর, এক লিটারের কোমল পানীয়ের একটি বোতল ভাগ করে খায়। পুরো সময়ে তাঁদের সামনেই বসিয়ে রাখা হয় বলে জানান শ্রাবণী ও অনীক।
শ্রাবণী অভিযোগ করেন, খাওয়া সেরেই স্বমূর্তি ধারণ করে দুষ্কৃতিকারীরা। ছেলের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ধরে টাকা-গয়না কোথায় আছে জানতে চায়।
তিনি আরো বলেন, ভয়ে অনীকই তাদের হাতে আলমারির চাবি দেয়। আমাদের একটি ঘরে ঢুকিয়ে দু’জন পাহারা দিচ্ছিল। বাকিরা সব তোলপাড় করে গয়না, টাকা নিয়ে নেয়। তার পর বাড়ির পিছনের দিকের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়।
সুকুমার বলেন, দুষ্কৃতিকারীরা বাড়ি ছাড়ার পরে স্ত্রী ফোনে আমাকে বিষয়টি জানান। রবিবার আমি অন্ডালের বনবহাল ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ করেছি। কারো এত সাহস হবে, ভাবতে পারিনি!
পুলিশের একজন সদস্য বলেন, ডাকাতি করতে এসে মিষ্টি, ঠান্ডা পানীয় খাওয়া— এমন ঘটনা শুনিনি!
পুলিশ জানায়, ভবনের শৌচাগারের জানালার গ্রিল কেটে দুষ্কৃতিকারীরা ঘরে ঢুকেছিল।