ভারতের উত্তরপ্রদেশের হাসানপুরের একটি কলেজকে রোববার গণবিবাহ অনুষ্ঠানের জন্য বিয়ের হলে পরিণত করা হয়। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত গণবিবাহের ওই অনুষ্ঠানে বিয়ের জন্যে ৩০০ বর-কনে জড়ো হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে এক কনের গোপন তথ্য বের হয়ে আসায় এক ধরনের চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে জানা যায়, আসমা নামের এক নারী প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ছাড়াই দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে এসেছিলেন। গত তিন বছর আগে, নূর মোহাম্মদকে বিয়ে করেন আসমা। তবে দুজনের মধ্যে একাধিক বিরোধ ছিল। আসমা অন্তত ছয় মাস আগে তার পিতামাতার বাড়িতে ফিরে আসেন। তাদের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
রোববারের এই অনুষ্ঠানে বর কনের সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন তাদের আত্মীয়রাও। তবে অতিথিদের মধ্যে আসমার শ্বশুরবাড়ির লোকেরাও উপস্থিত হওয়ায় আপত্তি শুরু হয়। একপর্যায়ের আসমার বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়।
জানা যায়, সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী পরিচালিত এই গণবিবাহ প্রকল্পের আওতায় কনের জন্য ৩৫ হাজার টাকাসহ দম্পতির জন্য বিনামূল্যে উপহারের কথা জানতে পারেন আসমা। সেইসময় তিনি তার চাচাতো ভাই জাবের আহমেদকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।
অনুষ্ঠানের সময় সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থ এবং উপহারগুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য দুজনে একটি চুক্তি করেছিলেন। উপহারের মধ্যে রয়েছে, একটি ডিনার সেট, বর ও কনের জন্য দুই জোড়া জামাকাপড়, একটি দেয়াল ঘড়ি, একটি ভ্যানিটি কিট, একটি দুপট্টা, রুপোর পায়ের আঙ্গুলের আংটি এবং প্যান্ট এবং একটি লাঞ্চ বক্স।
দুইজনে নগদ টাকা দিয়ে মহিষ কেনার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন। তবে আসমার শ্বশুর বিয়ের শংসাপত্র নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন। সেইসময় চিফ ডেভেলপমেন্ট অফিসার অশ্বিনী কুমার মামলাটি পুলিশের হাতে তুলে দেন।
মুখ্যমন্ত্রীর গণবিবাহ প্রকল্পের নিয়ম লঙ্ঘন, অযথা সুযোগ নেওয়ার আবেদন এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার জন্য দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।