বিয়েতে কত বিচিত্র ঘটনা না ঘটে। এর প্রভাবে কখনও কখনও বিয়ে ভেঙেও যায়। এবার বিয়ে ভাঙল পাত্রের মাথায় টাক থাকার কারণে।
ঘটনাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের উন্নাও শহরের। বিয়ে অর্ধেক সম্পন্ন হওয়ার পর কনে জানতে জানের পাত্রের মাথায় টাক। এরপরই বিয়ে ভেঙে দেন তিনি।
ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস নাউয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হিন্দু রীতি অনুযায়ী নির্দিষ্টে লগ্নে বিয়ে শুরু হয় ওই পাত্র-পাত্রীর।
সমস্ত রীতি মেনেই একে অপরের সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করার অঙ্গীকারবদ্ধ হচ্ছিলেন বর ও কনে। প্রথমদিনের মতো বিয়ের আচার অনুষ্ঠান শেষও হয়ে যায়। বাকি প্রথা পরের দিন সকালের হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগে মণ্ডপে পা রাখতেই ক্লান্ত বর জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
আর তখনই তার পরচুলা খুলে যায়। কনের পরিবারের লোকেরা তখন বুঝতে পারেন, এই বিষয়টি তাদের কাছ থেকে লুকিয়ে রেখেছিলেন পাত্র। এ খবর কনের কানে গিয়েও পৌঁছায়। সঙ্গে সঙ্গে বেঁকে বসেন তিনি। পরে আর ওই পাত্রকে বিয়ে করতে রাজি হননি কনে।
এরপর মেয়ের পরিবার তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও পাত্রী কোনোভাবেই বিয়ে করতে রাজী হননি। পরে পুলিশ ডাকা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন কনে। সমস্যা মেটাতে পরে পঞ্চায়েত বৈঠক ডাকা হয়। পাত্রীর পরিবার জানান, বিয়েতে তাদের সাড়ে ৫ লাখেরও বেশি রুপি খরচ হয়েছে। পাত্রের বাড়ির লোক সেই ক্ষতিপূরণ দিয়ে খালি হাতেই বাড়ি ফিরে যায়।
কনের চাচা জানান, বরের পরিবারের টাকের কথা লুকানো উচিত হয়নি। তিনি বলেন, ‘তারা যদি পাত্রের টাকের কথা আমাদের বলতেন, তাহলে আমরা মেয়েকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে পারতাম এবং সে এমন করত না। আমরাও চাইনি কোনো বিয়ে মিথ্যা দিয়ে শুরু হোক’।