পৃথিবীতে যত মানুষ আছেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় পায়ের পাতা জেসনের। তার পায়ের জন্য দরকার হয় মার্কিন ২৬ সাইজ জুতার, যেখানে সাধারণ মানুষের লাগে ১০-১১ সাইজ। তাও ব্র্যান্ড অনুযায়ী এই সাইজের ভিন্নতা রয়েছে। জানেন কি? সবচেয়ে বড় পায়ের পাতার এই তরুণের বয়স মাত্র ২০ বছর।
ভেনিজুয়েলার জেসন ওরলেন্দো রদ্রিগেজ হার্নান্দেজ বড় পায়ের জন্য রীতিমতো তারকা খ্যাতি পেয়েছেন। এমনকি গিনেস বুক অব রেকর্ডসেও নাম উঠেছে তার। বিশ্বের জীবিত মানুষদের মধ্যে সবচেয়ে বড় পা জেসনের। তার ডান পায়ের পাতার দৈর্ঘ্য ১ ফুট ৩.৭৯ ইঞ্চি ও বাঁ পায়ের পাতার দৈর্ঘ্য ১ ফুট ৩.৫৯ ইঞ্চি।
বর্তমানে তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় পায়ের অধিকারী। তার আগে ২০১১ সাল থেকে এ রেকর্ডের মালিক ছিলেন সলোমন দ্বীপপুঞ্জের পিটার আইগোরা। তার ডান পায়ের পাতার দৈর্ঘ্য ছিল ১ ফুট ২.৭৬ ইঞ্চি ও বাঁ পায়ের পাতার দৈর্ঘ্য ছিল ১ ফুট ২.৩৭ ইঞ্চি।
জেসনের বয়স যখন ৯ বছর তখন তিনি খেয়াল করেন তার পায়ের আকার অন্য বন্ধুদের তুলনায় বেশ বড়। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ই তিনি বন্ধুদের পায়ের সঙ্গে নিজের পায়ের দৈর্ঘ্যের তুলনা করতেন। দেখা যেত জেসনই সবসময় এগিয়ে।
শুধু তাই নয়, পরিমাপ করে দেখা যায় সবচেয়ে লম্বা পুরুষ তুরস্কের সুলতান কোসেনের পায়ের পাতার (মার্কিন ২৪ সাইজ) চেয়েও জেসনের পা বড়।
এরপরই জেসন ফেসবুকের মাধ্যমে নিজের পা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গিনেস কর্তৃপক্ষকে জানান। তখন গিনেসের লাতিন আমেরিকার কর্মকর্তারা সরেজমিন তার দাবির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হন।
জেসন ১৪ বছরের পর থেকে কোনো জুতাই দুই তিন সপ্তাহের বেশি পরতে পারেননি। কারণ তার পায়ের দ্রুত বৃদ্ধি। প্রায়ই তার পা জুতার বাইরে বেরিয়ে থাকত। বয়সের তুলনায় পায়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ব্যাপারে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এটি পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে অধিক রস নিঃসরণের ফল।
জানেন কি? পিটুইটারি গ্রন্থির রসের প্রভাবেই কিন্তু আমাদের শরীরের বৃদ্ধি ঘটে। এই রস কম নিঃসৃত হলে মানুষের আকার হয় ছোট। আবার পরিমাণের চেয়ে বেশি নিঃসৃত হলে শরীরের কোনো একটি অংশ অস্বাভাবিকভাবে বাড়ে।
বড় পায়ের ফলে উপযুক্ত মাপের জুতা খুঁজে পেতে বেশ বেগ পেতে হয় জেসনের। বর্তমানে বিশেষভাবে অর্ডার দিয়ে জার্মানি থেকে জুতা সংগ্রহ করেন তিনি।