রিসাইকেলিংয়ের ব্যাপারে এখন সবাই কমবেশি জানেন। ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুরোনো বা অব্যবহৃত কাপড় বা আসবাবপত্র বিক্রি করেন। তাতে অন্যরাও অল্পদামে প্রয়োজনীয় কিছু কিনতে পারছেন আবার অনেকে ঘরের অপ্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করে কিছুটা আয়ও করছেন।
তবে এসবের সব কিছু ছাড়িয়েছে গেছেন নথ ক্যারোলাইনার বাসিন্দা ২৮ বছর বয়সি রেবেকা ব্লু। তিনি বেছে নিয়েছেন অদ্ভুত এক পেশা। পেশা না বলে ব্যবসা বলেও ঠিক মানিয়ে যাবে। অব্যবহৃত নয় বরং ব্যবহৃত নোংরা জিনিসপত্র বিক্রি করে কোটিপতি বনে গেছেন এই তরুণী।
নিজের পায়ের নখ বিক্রি করেই প্রতি মাসে রোজগার করেন প্রায় ৭-৮ লাখ টাকা। এছাড়াও তার বিক্রির তালিকায় আছে- গোসলের পানি, থুতু, চিবানো খাবার, ব্যবহৃত কটনবাড, প্যান্ট, বগলের লোম, ময়লা জামাকাপড়, আন্ডারওয়্যার পোশাক। এসব তিনি লাখ লাখ টাকায় বিক্রি করেন।
ইনস্টাগ্রামে রেবেকা অত্যন্ত পরিচিত মুখ। জনপ্রিয়ও। তার অনুরাগীর সংখ্যাও অগুণতি। সামনে থেকে দেখতে, তাকে এক বার ছুঁয়ে দেখতে মুখিয়ে থাকেন তার অনুরাগীরা। আর এই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়েছেন এই তরুণী। সামনে থেকে তিনি ধরা দেন না। কিন্তু তার ব্যবহৃত জিনিস অনুরাগীদের মধ্যে অর্থের বিনিময়ে পৌঁছে দেন তিনি।
গৃহকর্মীদের প্রতি রেবেকার কড়া নির্দেশ যাতে এই জিনিসগুলো তারা ফেলে না দেন। মাঝেমাঝে নিজেও গুছিয়ে সযত্নে তুলে রাখেন এই দ্রব্যগুলো। রেবেকা নতুন পোশাক কেনার আগে পুরোনোগুলো বিক্রি করে দেন। তবে বেশিরভাগ সময় সেই পোশাকগুলো থাকে নোংরা।
এসব বিক্রি করে যে অর্থ তিনি পান, তা মোটেই নিজের কাজে লাগান না। রাস্তার বিড়াল, সারমেয়দের জন্য সেই অর্থ তিনি খরচ করেন। তিনি বেশ কয়েকটি অবহেলিত কুকুর ও বিড়ালের ফাউন্ডেশন চালান। তাদের পেছনেই ব্যয় করেন এসব অর্থ।