ঘর সারানোর জন্য ব্যাংক থেকে চার হাজার মার্কিন ডলার তুলে রান্নাঘরে একটি তাকের ওপর রেখেছিলেন এক মার্কিন দম্পতি। কিন্তু কোনোভাবে সেই ডলারভর্তি খাম নাগালে পেয়ে যায় তাদের পোষা কুকুর সেসিল। এরপর সেই ডলারগুলো চিবিয়ে খেয়ে ফেলে সে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় ঘটেছে এই ঘটনা।
ভুক্তভোগীদের নাম ক্লেটন ল এবং ক্যারি ল। তারা জানান, সাত বছর বয়সী কুকুরটি খুবই শান্ত প্রকৃতির। আগে কখনোই সে রান্নাঘরে তাকের ওপর ওঠেনি। সারাক্ষণ নিচে থাকতেই পছন্দ করতো সে।
ফলে, সেসিল তাকের ওপর উঠে ডলারভর্তি খাম চিবিয়ে খাওয়ায় অবাক হয়েছেন স্বামী-স্ত্রী দুজনেই। ক্লেটন জানান, তাদের বিশ্বাসই হচ্ছিল না সেসিল এমন কাজ করতে পারে।
তারা জানান, ঘটনার পর সারাদিন স্বাভাবিকই ছিল কুকুরটি। কিন্তু মাঝরাতে হঠাৎ একটি শব্দে ঘুম ভেঙে যায় ক্লেটন ও ক্যারির। তারা বুঝতে পারেন, কুকুর বমি করার আগমুহূর্তে কাঁতরানোর শব্দ এটি। তাই দ্রুত উঠে পড়েন তারা, যেন সেসিল ঘরের যেখানে-সেখানে বমি না করে।
পরে সেসিলের বমির সঙ্গে ডলারের টুকরো বেরোতে দেখে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ তাদের। তারা দেখেন, কুকুরটির বমির মধ্যে বেশ কয়েকটি ১০০ ও ৫০ ডলারের নোটের আধা-খাওয়া টুকরো পড়ে রয়েছে।
বুঝতে পারেন, দরকারি ডলারগুলো খেয়ে ফেলেছে সাধের পোষা কুকুর। কিন্তু তখন আর কী করা!
তাই এরপর অন্তত দুদিন ধরে কুকুরের বমির সঙ্গে বের হওয়া ডলারের টুকরোগুলো ধুয়ে মুছে জোড়া লাগাতে থাকেন এ দম্পতি।
ব্যাংক থেকে পুরো টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য একটি নোটের অন্তত অর্ধেকটা থাকা বাধ্যতামূলক। ল দম্পতি জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত তারা ৩ হাজার ৫৫০ ডলার ফেরত পেয়েছেন।
ক্যারি জানান, ব্যাংকের লোকজন এই বিষয়ে খুবই আন্তরিক ছিল। তারা জানিয়েছিলেন, এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে। কারণ টাকার নোটে অনেক ধরনের গন্ধ থাকে, বিশেষ করে তা যদি খাদ্য শিল্পে ব্যবহৃত হয়। আর কুকুরের ঘ্রাণশক্তি খুবই প্রখর। তাই হতে পারে, এমন কোনো ঘ্রাণেই সেদিন পাগল হয়ে গিয়েছিল সেসিল।