রাশিয়ার ২৪ বসন্তের যুবতী পোলিনা মুরুগিনা। কি এক খেয়ালে তিনি একটি চার্চের সামনে গিয়ে নগ্ন হয়ে গেলেন। নগ্ন মানে নগ্নই। গায়ে তার পোশাক বলতে একটি সুতাও নেই। তবে পুরো গায়ে আছে ট্যাট্টু বা উল্কি আঁকা। তিনি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সে দৃশ্যসম্বলিত ছবি পোস্ট দেন। তারই অংশ হিসেবে তিনি চার্চের সামনে নগ্ন হয়ে ছবি ধারণ করেন। কিন্তু এতে বেঁকে বসেছে প্রশাসন।
এ খবর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ বলছে, ঘটনাটি গত গ্রীষ্মের। কিন্তু এতে পুলিশের নজর পড়েছে সম্প্রতি। পোলিনা মস্কোতে অবস্থিত চার্চ অব ইন্টারসেশন অব দ্য ব্লিজড ভার্জিন মেরি’র সামনে পুরো নগ্ন হয়ে পোজ দেন। এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি পোলিন মুরুগিনা। এরই মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে তার ইন্সটাগ্রামের একাউন্ট। ওই একাউন্টেই পোস্ট করা হয়েছিল সেই নগ্ন ছবি। কোনো চার্চ বা রাষ্ট্রীয় কোনো ভবনের পাশে দাঁড়িয়ে কেউ রগরগে ছবি তুলে তা পোস্ট করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর দমনপীড়ন শুরু করেছে ক্রেমলিন। তার শিকারে পরিণত হয়েছেন পোলিন।
গত বছর মস্কোতে সেইন্ট বাসিলস ক্যাথেড্রালের খুব কাছে এক্স-রেটেড ফটোশুট করেছিলেন এক দম্পতি। এ কারণে তাদেরকে জেল দেয়া হয়েছে। তারা ছিলেন তাজিকিস্তানের রুসলান ববিয়েভ এবং তার গার্লফ্রেন্ড আনাস্তাসিয়া চিসতোভা। চার্চের সামনে আনাস্তাসিয়া পুলিশের একটি জ্যাকেট পরে শারীরিক সম্পর্কের পোজ দিচ্ছিলেন। এই ছবি ধারণ করা হয়। এতে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। মস্কোতে রেড স্কয়ারে অবস্থিত ক্যাথেড্রাল রাশিয়ানদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি প্রতীক। একই সঙ্গে রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চ একে পবিত্র স্থাপনা হিসেবে দেখে থাকে।
কিন্তু সেখানে ওইরকম ছবি ধারণ করার কারণে ওই দম্পতিকে ১০ দিনের জন্য গ্রেপ্তার করে রাখা হয়। তাদেরকে ৫০০০ রুবল বা ৫১ পাউন্ড জরিমানা করে আদালত। ববিয়েভকে তার দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূমিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগ আনা হয়।
ববিয়েভ এবং আনাস্তাসিয়াকে মস্কোর টভারস্কয় ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট দোষী সাব্যস্ত করে ১০ মাসের জেল দেয়। আইন অনুযায়ী, এ আইনে কাউকে সর্বোচ্চ এক বছরের জেল দেয়ার বিধান আছে।