এই নারীর নাম সনিয়া সেম্যোনোভা। ৪৫ বছরের এই যুবতী গাছের সঙ্গে প্রেম করছেন। সোনিয়া কানাডার ভ্যাঙ্কুভারের বাসিন্দা।
নিজেকে পরিচয় দেন ‘সেল্ফ ইন্টিমেসি কোচ’ বলে। একজন সেল্ফ ইন্টিমেসি কোচ নিজের সঙ্গে নিজেকেই ঘনিষ্ঠ হতে শেখান। সনিয়া জানিয়েছেন, বছর কয়েক হলো একটি ওক গাছের প্রেমে পড়েছেন।
কীভাবে প্রেমে পড়লেন, কেমনই বা সেই প্রেম, তার বিস্তারিত কাহিনি শুনিয়েছেন সনিয়া।
তিনি বলেছেন, একজন প্রেমিকা তার প্রেমিকের মধ্যে কিছু না কিছু গুণের সন্ধান করেন। তিনিও ব্যতিক্রম নন। অনেক পুরুষ সঙ্গীর মধ্যে যেসব বৈশিষ্ট্যের খোঁজ পাননি, তা পেয়েছেন এই গাছের প্রেমে পড়ে।
সনিয়ার এমন পছন্দ অবশ্য অস্বাভাবিক নয়। বরং এই ধরনের ভাবনাচিন্তা যারা করেন, তাঁদের এক বিশেষ নাম আছে। প্রকৃতির মধ্যেই প্রেম খুঁজে নেওয়া এই ধরনের মানুষকে বলা হয় ইকোসেক্সুয়াল। এরা পৃথিবীকেই নিজের প্রেমিক বা প্রেমিকা বলে ভাবতে ভালবাসেন।
গাছকে দেখে কেমন অনুভব হয় তার, এই সম্পর্কে বলেছেন- শরীরী কামনা জাগ্রত হবে? এসব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন সনিয়া নিজেই। তিনি বলেছেন, ‘গাছটা দেখেও শরীরী প্রেম জাগতে পারে। তবে মানুষের শরীরী প্রেমের সঙ্গে এই প্রেমের কিছু অমিল আছে।’
এ ব্যাপারে একটা অত্যন্ত ভুল ধারণা রয়েছে যে, ইকোসেক্সুয়ালিটির অর্থ প্রকৃতি এবং মানুষের মধ্যে যৌনতা। ব্যাপারটা মোটেই তা নয়।
সনিয়ার কথায়, এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই যে গাছের সঙ্গে এই প্রেমও শরীরী প্রেম। কিন্তু এই প্রেমের সঙ্গে আক্ষরিক অর্থে যৌনতার কোনও সম্পর্ক নেই।
২০২০ সালের দিকে গাছেরে প্রেমে পড়েছেন তিনি। কারোনাকালে তাদের প্রেমের শুরু। সেই সময় বাড়ির আশেপাশে হাঁটতে বের হতেন। তখনই তার আলাপ এই ‘প্রেমিকের’ সঙ্গে।
সনিয়ার দাবি, প্রকৃতির প্রতি তার যে অনুভূতি, এই একই অনুভূতি অনেকেই অনুভব করেন। শুধু তারা স্পষ্ট করে বলতে পারেন না বা হয়তো এই প্রেমকে মর্যাদা দিতে পারেন না।