নিজের গর্ভবতী বান্ধবীকে হত্যার পর তার পেট কেটে সন্তান ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন যুক্তরাষ্ট্রের টেইলর পার্কার। তার টার্গেট ছিল, ওই শিশুকে নিজের হিসেবে বড় করার। কিন্তু তিনি ওই শিশুটিকেও বাঁচাতে পারেননি। এমন নৃশংস অপরাধের জন্য তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। এ খবর দিয়েছে স্কাই নিউজ।
খবরে জানানো হয়, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে ২৯ বছর বয়স্ক টেইলর তার বান্ধবী রিগ্যান সিমোনস-হ্যানকককে খুন করেন। এই অপরাধের জন্য বুধবার টেক্সাসের আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। জানা যায় ২১ বছর বয়স্ক রিগ্যানের গর্ভে থাকা সন্তানকে নিজের করে নেয়ার জন্যই তাকে খুন করেন টেইলর। হত্যার সময় রিগ্যান ৩৫ সপ্তাহের গর্ভবতী ছিলেন। এসময় পাশেই উপস্থিত ছিল তার তিন বছরের মেয়েও। হত্যার পর রিগ্যানের পেট কেটে তার সন্তানকে বের করার চেষ্টা করেন টেইলর।
কিন্তু শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
আদালতে দেয়া এক বিবৃতিতে রিগ্যানের মা জেসিকা ব্রুক তার মেয়ের হত্যাকারীকে ‘হিংস্র দানব’ বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, টেইলর যখন আমার মেয়ের পেট কেটে তার সন্তানকে বের করার চেষ্টা করছিল তখনও সে জীবিত ছিল। ঘটনাটি ঘটে নিউ বোস্টনে। ভিক্টিমের স্বামী হোমার হ্যানকক জানান, টেইলর ও তার স্ত্রী দুইজন বন্ধু ছিলেন। তাদের বিয়েতেও এসেছিলেন টেইলর। এদিকে তার আইনজীবিরা তার মৃত্যুদণ্ড বাতিলের আবেদন জানাতে আবারও আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।