জাপানের একটি চিড়িয়াখানায় সঙ্গীহীন খাঁচায় বন্দি ১২ বছর বয়সী উল্লুকের অন্তঃসত্ত্বা হওয়া নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছিল। চিড়িয়াখানাটির কর্মীরা দুই বছর ধরে এই রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চালায়। অবশেষে তারা জানিয়েছেন, ওই উল্লুকের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার রহস্য তারা উদ্ঘাটন করেছেন। এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চলছে তোলপাড়।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাপানের নাগাসাকির কুজুকুশিমা চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে মম নামের ১২ বছর বয়সী এক সাদা উল্লুক বাচ্চা প্রসব করে। কিন্তু উল্লুকটির বাচ্চা প্রসবের ঘটনা চিড়িয়াখানার কর্মীদের কাছে রহস্য হিসেবে ধরা দেয়। কারণ স্ত্রী উল্লুকটি সঙ্গীহীন খাঁচায় বন্দি ছিল।
বাচ্চা প্রসবের পর এই রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চালায় চিড়িখানাটির কর্মীরা এবং শাবকটির জন্মদাতা কে তা অনুসন্ধান করে। অবশেষে দুই বছর পর কর্মীরা দাবি করেছে, তারা ওই রহস্য উদ্ঘাটন করেছেন এবং কীভাবে উল্লুকটি একটি পুরুষ উল্লুকের সঙ্গে শারীরিকভাবে মিলিত হয়েছিল তার ধারণাও পেয়েছেন। অবশ্য ডিএনএ পরীক্ষার পরই এ দাবি করেছে চিড়িয়াখানার কর্মীরা।
চিড়িয়াখানা কর্মীরা জানায়, ডিএনএ পরীক্ষায় দেখা যায় ওই শাবকটির জন্মদাতা ৩৪ বছর বয়সী ইতো নামের কালো একটি উল্লুক। ইতো মমের খাঁচার লাগোয়া অপর একটি খাঁচায় বন্দি ছিল।
চিড়িয়াখানাটি শুক্রবার সিএনএনকে জানায়, মম ও ইতোর স্টিলের খাঁচা দুটির মধ্যে ছোট একটি ছিদ্র ছিল। ছিদ্রটির ব্যাস প্রায় ৯ মিলিমিটার (শূন্য দশমিক ৩ ইঞ্চি) ছিল। যে কোনোভাবে হোক তারা ওই ছিদ্র দিয়ে শারীরিকভাবে মিলিত হতে সক্ষম হয়েছিল বলে ধারণা।
চিড়িয়াখানার কর্মীরা জানায়, বাচ্চা উল্লুকটির এখনো নাম রাখা হয়নি। এখন তার ওজন দুই কিলোগ্রাম এবং মমের ভালোবাসায় ‘সুস্থভাবে বেড়ে’ উঠছে সেটি।
চিড়িয়াখানাটির উপপরিচালক হিদেকি হিসানো বলেন, এর মাধ্যমে পৃথিবীতে দারুণ এক জীবনের জন্ম হয়েছে। আমরা তার ভালোভাবে যত্ন নেওয়া অব্যাহত রাখব এবং আশা করি শাবকটি একটি সুস্থ্য জীবনযাপন করবে।