ঘর গোছানোর নেশা রয়েছে অনেকেরই, বিশেষ করে আলমারি। সব কিছু ঠিকঠাক না থাকলে যেন কিছুতেই শান্তি পাওয়া যায় না। এ জন্য নিজের আলমারি অনেকেই গোছান, ইচ্ছা হলে অন্যেরটিও গুছিয়ে দেন। আর এই কাজ করেই মাসে প্রায় ৬০ হাজার টাকা আয় করছেন ১৯ বছরের এক তরুণী। না, মিথ্যা নয়, ঘটনা সত্য!
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের খবর অনুসারে, যুক্তরাজ্যের লেস্টারের বাসিন্দা এলা ম্যাকমোহন। পড়াশোনা করছেন ফ্যাশন বায়িং অ্যান্ড ডিজাইনিং নিয়ে। কিন্তু এই বয়সেই মাসে ৫০০ পাউন্ড পর্যন্ত আয় করছেন তিনি, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৫৮ হাজার টাকারও বেশি।
কী করেন এলা? সুন্দর করে অন্যের আলমারি গুছিয়ে দেন আর তার বদলে অর্থ নেন। পড়াশোনার পাশাপাশি দিব্যি আলমারি গোছানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এ তরুণী। যা আয় হয়, তার কিছু টাকা নিজের ও পড়াশোনার জন্য খরচ করেন। বাকিটা জমিয়ে রাখছেন শখের বাড়ি বানানোর জন্য।
এলা জানান, ছোটবেলা থেকেই তার ঘর গোছানো স্বভাব। বিশেষ করে আলমারি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এই কাজ করতে পারেন। এটাই তার নেশা, যা এখন পেশায় পরিণত হয়েছে।
আগে এমনিতেই আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের আলমারি গুছিয়ে দিতেন এ তরুণী। ধীরে ধীরে অন্যদের বাড়ি গিয়ে আলমারি গোছানো শুরু করেন আর তার জন্য অর্থ নিতে থাকেন। এভাবেই এলার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। সংবাদ প্রকাশ হয় নানা গণমাধ্যমে।
এলা জানান, গোছানোর সময় সবার আগে আলমারি থেকে অপ্রয়োজনীয় পোশাকগুলো বাদ দেন। তারপর রঙ মিলিয়ে সব গুছিয়ে রাখেন। অপ্রয়োজনীয় পোশাকগুলো নিয়ে দরিদ্রদের দিয়ে দেন।
এখন অন্তত ২০ জন নিয়মিত গ্রাহক রয়েছে এলার। তারা দুই সপ্তাহ পরপর আলমারি গোছাতে ডাকেন। এ কাজে ঘণ্টাপ্রতি ১৫ থেকে ২০ পাউন্ড (১৭শ থেকে ২৩শ টাকা) নেন এলা।
ব্রিটিশ এ তরুণী জানান, আলমারি গোছাতে তার তিন থেকে নয় ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগে। এটি নির্ভর করে মূলত আলমারির আকারের ওপর। তবে যত সময়ই লাগুক, এতে মোটেও বিরক্ত হন না এলা। তার কথায়, আলমারি গোছানোর কাজ আমি সারাদিন করতে পারি।