মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে কাকতালীয়ভাবে অচেনা পাথর হাতে পড়েছিল এক পশুপালকের। পাথরটি কী তিনি জানতেন না। তবে এ রকম পাথর আগে কখনও দেখেননি।
উজ্জ্বল, সাদা, সূর্যের আলো পড়লে যেন জ্যোতি ঠিকরে পড়ছে তার চারপাশ থেকে। ঠিক যেন হীরা! ওই পশুপালকের এই আবিষ্কারের কথা সামনে আসার পর আরেক কাণ্ড। ধনী হতে মাটি খোঁড়ার যন্ত্র নিয়ে হুড়মুড়িয়ে লোকজন ছুটছেন সেই গ্রামে।
শত শত মানুষের এই হুল্লোড় নিমেষে নজর টেনেছে সারাবিশ্বের। করোনাকালে এত মানষের জমায়েতেও উদ্বেগ বাড়িয়েছে প্রশাসনের। সত্যিই ওই এলাকার মাটির নিচে হীরা রয়েছে কি না, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধন্দ।
ঘটনা দক্ষিণ আফ্রিকার খালাথি গ্রামের। ওই গ্রামে একটি বিস্তৃত ফাঁকা মাঠ রয়েছে। সেই মাঠে সচরাচর মানুষের যাতায়াত নেই। মূলত গৃহপালিত পশুর চারণক্ষেত্রই হয়ে উঠেছিল ওই এলাকা। সম্প্রতি সেখান থেকেই মাটি খুঁড়ে ওই অচেনা উজ্জ্বল পাথরের খোঁজ মেলে।
এখবর ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত লোক ওই পাথরের খোঁজে আসতে শুরু করেন। সঙ্গে নিয়ে আসেন মাটি খোঁড়ার নানা যন্ত্রও। তাদের বিশ্বাস ওই এলাকায় মাটির নিচে হীরা লুকিয়ে আছে। কিন্তু মাটি খুঁড়ে কোয়ার্জ ছাড়া আর কিছুর সন্ধান এখনও মেলেনি।
আফ্রিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেকার দক্ষিণ আফ্রিকায়। দেশের বেশির ভাগ পরিবারই দারিদ্র্যসীমার নিচে। সে কারণেই এই আবিষ্কারের কথা জানতে পেরে বহু মানুষ ছুটে গিয়েছেন ওই এলাকায়। তাদের অনেকেই নানারকম দেখতে পাথরও উদ্ধার করেছেন। ওই অঞ্চলে ঘাঁটি ফেলে মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু করেছে একাধিক হীরা উত্তোলক সংস্থাও।
কিন্তু সত্যিই সেখানে হীরা পাওয়া গেছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভূতত্ত্ববিদদের একটি দল পাঠানো হয়েছে সেখানে। যত দ্রুত সম্ভব ওই এলাকা খালি করার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। এরপরই সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে পারবেন বিশেষজ্ঞরা। উদ্ধার হওয়া পাথরগুলো হীরারই ভিন্ন রূপ কি না, তা জানা যাবে।