বারতোশেক মূলত কাজমা নামেই পরিচিত। চেক টিভি ব্যক্তিত্ব কামিল বারতোশেক সোশ্যাল মিডিয়ায় তার অনুসারীদের কাছে একটি অবিস্মরণীয় উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর এমন ঘটনার সাক্ষী হলো সবাই। সামাজিক নেটওয়ার্ক প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে একটি প্রতিযোগিতার ঘোষণা করে বারতোশেক শুধু একজন বিজয়ীকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত না নিয়ে যারা এতে অংশ নিয়েছেন তাদের প্রত্যেককে পুরস্কৃত করার ভাবনা থেকেই এমন কাজ করেছেন।
স্প্যানিশ সংবাদপত্র লা ভ্যানগার্ডিয়া অনুসারে, কাজমার চলচ্চিত্র ‘ওয়ানম্যানশো: দ্য মুভি’তে দেখানো কোডটির (সাংকেতিক ভাষা) অর্থ খুঁজে বের করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
১০ লাখ ডলার পেতে প্রতিযোগীকে সেই কোড উন্মোচন করতে হবে। কিন্তু কেউই এর সমাধান করতে পারেননি। এর পরই হেলিকপ্টার থেকে ডলার ছড়ানোর পরিকল্পনা করেন কাজমা। তিনি চিন্তা করেন, এর মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের সবার মাঝে অর্থ বিলিয়ে দেবেন।এর আগে এক ঘোষণায় বলা হয়, ‘চেক প্রজাতন্ত্রের ওপর দিয়ে কয়েক দিনের মধ্যে একটি কার্গো হেলিকপ্টার উড়ে যাবে। হেলিকপ্টারে একটি কনটেইনারের ভেতর ১০ লাখ ডলার থাকবে। চেক প্রজাতন্ত্রের যেকোনো জায়গায় কনটেইনারটির দরজা খুলে যাবে। যারা তাদের কার্ড চালু করেছেন, তারাই শুধু কয়েক ঘণ্টা আগে জানতে পারবেন কখন ও কোথায় দরজাটি খুলবে।’এরপর হুট করেই একদিন সকাল ৬টার দিকে প্রতিযোগীদের কাছে ই-মেইল করেন কাজমা।ই-মেইলে বলা ছিল কোথায় তিনি ডলারগুলো ফেলবেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ে নির্দিষ্ট জায়গায় হেলিকপ্টার থেকে ডলারগুলো ফেলেন তিনি। আকাশ থেকে যখন ডলারের বৃষ্টি ঝরছিল, তখন অনেক মানুষ মাঠে জড়ো হয়েছিল। এক ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে তারা প্লাস্টিকের ব্যাগে সব ব্যাংক নোট সংগ্রহ করে।
অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, লোকজন ব্যাগ নিয়ে একটি মাঠের মধ্যে দৌড়াচ্ছে এবং যতটা সম্ভব বেশি ডলার ভরার চেষ্টা করছে। অনেকে সহজে অর্থ বহনের জন্য ছাতাও ব্যবহার করেছে। সবাইকে চমকে দেওয়ার মতো এই অনন্য কার্যক্রম নিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করেন কাজমা। ভিডিওটি তিনি তার আনুষ্ঠানিক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন। শিরোনামে লেখেন, ‘পৃথিবীর প্রথম ডলার বৃষ্টি’।
সামাজিক মাধ্যমে কাজমার দেওয়া তথ্য অনুসারে, প্রায় চার হাজার মানুষ ওই অর্থগুলো সংগ্রহ করেছে।