অবশেষে বিমানে চড়লেন বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা নারী রুমেসা গেলজি। কাজটি মোটেই সহজ ছিল না। তুর্কি এয়ারলাইনসের সহায়তায় বিমানে বিশেষ ব্যবস্থা করে এটি সম্ভব করা হয়েছে। বিমানের ছয়টি আসনকে স্ট্রেচারে পরিণত করার পর ভ্রমণ করতে সক্ষম হন গেলজি।
গেলজির উচ্চতা প্রায় সাত ফুট। গিনেস বুক অব রেকর্ডসেও রয়েছে তার নাম। ওয়েভার সিনড্রোম নামে একটি জেনেটিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার কারণে স্ট্রেচারে ভ্রমণ করতে হয় তাকে। তিনি সাধারণত হুইলচেয়ারে করে ঘুরে বেড়ান এবং কখনো কখনো অল্প দূরত্বে হেঁটে থাকেন। তুর্কি এয়ারলাইনসের একটি ফ্ল্যাগশিপ বিমানের ছয়টি আসনকে স্ট্রেচারে পরিণত করার পর তিনি যাত্রা করতে সক্ষম হন।
২৫ বছর বয়সী গেলজি পেশায় একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার। গিনেসের সহায়তায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এবং তার পেশার বিকাশ ঘটাতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যেতে চেয়েছিলেন। প্রথমে তিনি তার মাকে সঙ্গে নিয়ে হুইলচেয়ারে করে বিমানে ওঠেন এবং স্ট্রেচারে শুয়ে ১৩ ঘণ্টার ফ্লাইটটি পাড়ি দেন।
ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে গেলজি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি তার প্রথম বিমান ভ্রমণ নিয়ে ভীষণ উত্তেজিত। তার মতো রোগীদের জন্য ফ্লাইটে স্ট্রেচার রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘এটি হবে আমার প্রথম ফ্লাইট এবং প্রথম বিদেশ ভ্রমণ। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি যে এই অভিজ্ঞতা শুধু আমার নয়, অনেকের জন্যই প্রথম। কারণ স্ট্রেচার যাত্রী হিসেবে ভ্রমণের ব্যবস্থাটি সংরক্ষিত থাকে। এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ভ্রমণের সময় তা ব্যবহার করা হয়। আমি মেরুদণ্ডের বক্রতাজনিত ব্যাধি স্কোলিওসিসের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে বসতে পারি না, তাই বিমানে আমার স্ট্রেচারের প্রয়োজন। ’
গেলজি তুরস্কের কারাবুকে বাস করেন। তিনি জানিয়েছেন, ওয়েভার সিনড্রোম এবং স্কোলিওসিসের পক্ষে সমর্থন ও সচেতনতা বাড়াতে তার বিশ্বরেকর্ড ব্যবহার করছেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মানুষ সুলতান কোসেনও তুরস্কে বাস করেন। তার উচ্চতা ৮ ফুট ২.৮ ইঞ্চি।