২০০৭ সালের একটি ‘ফার্স্ট জেনারেশন’ আইফোনকে নিলামে তোলা হয়েছিলো। যেটি ৬৩ হাজার ডলারেরও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। শুধু তাই নয় এটি এর আসল দামের ১০০ গুণেরও বেশি। নিলামকারী সংস্থা ‘LCG Auctions’ জানিয়েছে – আইফোনের প্রথম-সংস্করণটি যে বাক্সে রাখা ছিলো সেটি কখনই খোলা হয়নি। ২০০৭ সালে আইফোনের আসল দাম ছিলো ৫৯৯ ডলার। এতে ছিলো ২-মেগাপিক্সেল ক্যামেরা সহ একটি ৩.৫-ইঞ্চি স্ক্রীন, ৮জিবি স্টোরেজ , ইন্টারনেট এবং আইটিউনস। এই ফোনে কোনো অ্যাপ স্টোর ছিল না, ফোনটি চলতো 2G নেটওয়ার্কে।
এই ফোনের বিডিং এই মাসে শুরু হয়েছিলো ২৫০০ ডলার দিয়ে । LCG-এর ওয়েবসাইট অনুসারে ২৭টি বিড ডাকা হয়েছিলো। এলসিজি নিলামের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক মন্টেরো সিএনএনকে বলেছেন যে ১০ জন ক্রেতা আইফোনটি জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং বিজয়ী ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন ব্যক্তি। টেলিভিশন প্রোগ্রাম “দ্য ডক্টর অ্যান্ড দ্য ডিভা”-তে এসে কসমেটিক ট্যাটু শিল্পী কারেন গ্রিন জানান তিনি আইফোন ফার্স্ট জেনারেশনের এই ৮ জিবি সংস্করণটি উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন , কিন্তু কখনোই ফোনের সীলটি ভাঙেননি।
শো-এর একজন মূল্যায়নকারী সেই সময়ে ফোনটির মূল্য নির্ধারণ করেছিলেন ৫ হাজার ডলার। অক্টোবরে বন্ধ হওয়া এলসিজি নিলামের তালিকায় গ্রিনের মতো আরেকটি না খোলা প্রথম সংস্করনের আইফোন ৩৯ হাজার ডলারেরও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে।বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের দৈনন্দিন জীবন অনেকটাই বদলে দিয়েছে আইফোন ।এটি একদিকে যেমন কয়েক ডজন শিল্পকে হত্যা করেছে (ক্যামকর্ডার, MP3 প্লেয়ার, ফ্লিপ ফোন) পাশাপাশি আরও নতুন কিছু এনেছে ।
২০০৭ সালে অ্যাপলের বার্ষিক ম্যাকওয়ার্ল্ড এক্সপোতে বক্তৃতা দেবার সময় তৎকালীন অ্যাপল বস স্টিভ জবস আইফোনটির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেছিলেন -“আমরা আজ একসাথে ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছি।” জবস নতুন স্মার্টফোনটিকে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা মোবাইল ফোন বলে অভিহিত করেছিলেন, কারণ সেই সময়ে এটিতে একটি আইপড, এবং “ইন্টারনেট কমিউনিকেটর” সম্পৃক্ত ছিলো। একটি ফোনে সত্যিকারের ওয়েব ব্রাউজিং এনে সেইসময় বিপ্লব সৃষ্টি করেছিলো এই ‘ফার্স্ট জেনারেশন’ আইফোন।